ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টিসিবির পণ্য পাচারের চেষ্টাকালে জব্দ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিতরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
টিসিবির পণ্য পাচারের চেষ্টাকালে জব্দ, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুরে ডিলারের সহায়তায় টিসিবি পণ্য পাচারের চেষ্টাকালে স্থানীয়রা ৪৫ জনের নামে বরাদ্দকৃত পণ্য আটক করেছে। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই পণ্যগুলো বিতরণ করা হয়েছে।

 

শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শাহাবাজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উপরধোবড়া গ্রামের নজিবর রহমান ফেক্কুর ছেলে মো. আলম পল্ট্রি ও একই ইউনিয়নের সন্ন্যাসী কুপতলা গ্রামের মো. নবীর ছেলে মো. হানিফ ২৫ জন ব্যক্তির নামের কার্ড দেখিয়ে ২৫ জনের জন্য বরাদ্দকৃত পণ্য এবং টিসিবির ডিলারের কর্মচারীর নামে আরও ২০টি কার্ডের পণ্যসহ মোট ৪৫ জনের পণ্য নিয়ে অবৈধভাবে ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন পরিষদের পাশে জনতা ভ্যানটিকে আটক করে। পরে ভ্যানচালকসহ পণ্য একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত জনতার হাতে আটক মালামাল হেফাজতে নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। পরে পণ্যগুলো সুশৃঙ্খলভাবে বিতরণ করা হয়।  

স্থানীয়দের অভিযোগ টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের সঙ্গে আনিকা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হুসেইন শহিদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজামুল হক রানা জানান, তিনি ঘটনার সময় রাজশাহীতে থাকলেও পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন হানিফ নামের একটি ছেলে তার এলাকার ২৫ জনের কার্ড এর বিপরীতে ২০ জনের টিসিবির পণ্য ডিলারের একটি ভ্যানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই ভ্যানে টিসিবির ডিলারের আরও ২০ জনের পণ্য ছিল। পরে স্থানীয়রা ৪০ জনের জন্য বরাদ্দকৃত ওইসব পণ্য ভ্যানসহ আটক করে তাকে ও ইউএনওকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পণ্যগুলো উদ্ধার করে জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করে দেন।

তিনি আরও জানান, প্রতি জনের টিসিবি কার্ড প্রতি বরাদ্দ ছিল মসুর ডাল দুই কেজি, বুট এক কেজি এবং সুয়াবিন তেল দুই কেজিসহ ৪০৫ টাকার পণ্য।

অন্যদিকে আনিকা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হুসেইন শহিদ দাবি করেন, তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। তার ব্যবহারের জামা-কাপড়ের ভ্যানে হানিফ ২৫ জনের নামে বরাদ্দকৃত টিসিবি পণ্য নিয়ে যাচ্ছিল মাত্র। একজনকে একসঙ্গে এত জনের পণ্য দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত ৪৫ জনের বরাদ্দ সমমানের পণ্য উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোনো জনপ্রতিনিধি এ ঘটনায় জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে ডিলার বা আর কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।