ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে তীব্র যানজটে ভোগান্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
রাজধানীতে তীব্র যানজটে ভোগান্তি তীব্র যানজট, বনানী থেকে ছবি তুলেছেন ডি এইচ বাদল

ঢাকা: শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সেই সঙ্গে রোববার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসের ছুটি।

গেল তিন দিন ঢাকার সড়ক ছিল প্রায় পুরোপুরি ফাঁকা। যানজট বলতে গেলে ছিলই না। তবে আজ সোমবার (২৭ মার্চ) থেকে অফিস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  

অফিস কার্যক্রম শুরু হওয়ায় চিরচেনা যানজট শুরু হয়েছে রাজধানীতে। রাজধানীর রামপুরা-কুড়িল, বিমানবন্দর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে যানজটের চিত্র। আরও কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়েও যানজটের খবর পাওয়া গেছে।  

সকাল থেকেই বিমানবন্দর সড়ক ছিল কার্যত স্থবির। বেলা বাড়তে থাকার সঙ্গে-সঙ্গে যানজট কিছুটা কমলেও বিকেলে অফিস ফেরত মানুষের চাপে ফের স্থবিরতা দেখা যায়। এই রুটের চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছেন, অন্তত আট কিলোমিটার ধরে ছড়িয়ে আছে এই যানজট। যলে সময়মতো ইফতার করা নিয়ে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয়েছে।  

কাকলী এলাকায় বলাকা পরিবহনের বাসচালক রাশেদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কিছুদিন পর এ রকম ভয়াবহ যানজট দেখছি। ফোনে আরেক ড্রাইভার জানালেন টঙ্গী পার হয়ে গেছে যানজট।

একই চিত্র রামপুরা-কুড়িল সড়কেও। সরেজমিনে দেখা গেছে, শুধু যানজট নয়, যানজটের কারণে গাড়ি পেতে দীর্ঘ সারিতে দিয়ে অপেক্ষা করছে সাধারণ মানুষ। ভিড় দেখা গেছে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি এবং বিশেষায়িত চক্রাকার বাসের স্ট্যান্ডগুলোতেও।

মধ্যবাড্ডা এলাকায় ভিক্টর বাসে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী  ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে। বিকেল ৩টায় রামপুরা ব্রিজ থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন তিনি। গন্তব্য কুড়িল। দেড় ঘণ্টা সময়েও তিনি কুড়িল বিশ্বরোড পৌঁছাতে পারেননি।  

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আজ আর বাসার ইফতার কপালে নেই মনে হয়। কী আর বলব, এত রাগ লাগছে। বসে থাকা ছাড়া উপায়ও নেই।

নিজের সঙ্গে আট বছরের মেয়েকে নিয়ে তুরাগ বাসে ওঠেন রীনা বেগম। গন্তব্য আব্দুল্লাহপুর। উঠেছেন মানিকনগর এলাকা থেকে দুপুর দেড়টায়। বিকেল চারটায় তিনি পৌঁছাতে পেরেছেন কুড়িল পর্যন্ত। তার সঙ্গে থাকা ছোট মেয়েটা কেঁদে উঠেছিল একটু পর পর। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অধৈর্য হয়ে গেছি বসে থাকতে থাকতে। কিন্তু উপায় নেই।

এই সড়কে দায়িত্বরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, যানজটের মূল কারন তিন দিনের ছুটি। সঙ্গে যোগ হয়েছে ইফতারের বিষয়টা। মানুষ সবাই চাচ্ছে বাসায় গিয়ে ইফতার করতে। এতে সড়কে চাপ বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখার। কিন্তু এই সময়ে এত মানুষ একত্রে বের হন, আমাদের আসলে কিছু করার থাকে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
এমকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।