ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ভোটে সংবাদকর্মী-পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে কারাদণ্ডের বিধান আসছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
ভোটে সংবাদকর্মী-পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে কারাদণ্ডের বিধান আসছে বক্তব্য রাখছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হাসান

ঢাকা: নির্বাচনে গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদেরকে বাধা দিলে ২ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রেখে 'গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২৩'-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।   মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা  শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হাসান।

তিনি বলেন, এটাতে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছিল। আগে যেমন ছিল যে কোনো ইউলিটি বিল যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হবে তার সাত দিন আগে জমা দিতে হতো। না হলে মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হতো। এখন বিলটা মনোনয়নপত্র যেদিন জমা দেবে, তার আগের দিন পর্যন্ত জমা দিতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে টিআইএন সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে এবং প্রার্থী কত টাকা আয়কর জমা দিয়েছেন, সেটা রশিদ অনুযায়ী দাখিল করতে হবে। এটা আগে ছিল না। এ দুটি অংশ যোগ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এখানে একটা বিধান রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি কেউ গণমাধ্যমকর্মী এবং পর্যবেক্ষকদের আইনানুগ কাজে বাধা দেন, সেক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সচিব মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ধরুন আপনি ক্যামেরা নিয়ে গেলেন হয়তো অনেক সময় হতে পারে মনোমালিন্য হলে আপনি বেরিয়ে যান, ইত্যাদি ইত্যাদি বলা হলো। আপনার যদি বৈধভাবে ঢোকার অধিকার থাকে, কিন্তু তারপরও জোর করে বের করে দেওয়া হলো, ক্যামেরা ভেঙে ফেলল ইত্যাদি অনেক কিছুই হতে পারে। সেক্ষেত্রে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

এছাড়া আইনে ছোটখাটো অনেকগুলো বিষয় আছে জানিয়ে তিনি জানান, যেমন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের আগে শুধু ডিস্ট্রিক্ট (জেলা) উল্লেখ করা ছিল। এখন জেলার পরিবর্তে প্রতিটি আসনে হবে। অর্থাৎ ৩০০ আসনে ৩০০ জন রিটার্নিং অফিসার থাকবে- এমন আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এটার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, এখনো ফাইনাল করা হয়নি। আরও কিছু সংশোধন আছে। আরও কিছু মতামতসহ এটা আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপিত হবে। তারপরে আরও কিছু যদি সংযোজন হয়, সেটাসহ পাস করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮,২০২৩
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।