ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আদালতে মারা যাওয়া আড়াইহাজারের বৃদ্ধ জালালের দাফন সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
আদালতে মারা যাওয়া আড়াইহাজারের বৃদ্ধ জালালের দাফন সম্পন্ন

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জমির বিরোধের মামলায় গ্রেফতারের পর জামিন পান জালাল মিয়া নামের এক বয়স্ক ব্যক্তি। এরপর আদালতেই তার মৃত্যু হয়।

 

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টায় স্থানীয় মাদরাসার মাঠে তার দাফন অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিত স্বজনরা দোষীদের বিচারের দাবি করেন।
 
স্বজনদের অভিযোগ, গ্রেফতার ৬৫ বছরের বৃদ্ধ জালাল উদ্দিন জামিন পাওয়ার পর আদালত পুলিশের হাজতে তার মৃত্যু হয়। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুর সোয়া তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত জালাল উদ্দিন আড়াইহাজার উপজেলার রামচন্দ্রদী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মনরউদ্দিনের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার দিনগত রাত একটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে জালালকে গ্রেফতার করে আড়াইহাজার থানা পুলিশ। দুপুরে তাকে আদালতে আনা হয়। এ সময় আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে জামিনের কাগজ হাতে না পাওয়ায় তাকে হাজত থেকে বের করা যায়নি। হাজতেই দুপুর সোয়া তিনটার দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আদালত পুলিশ একটি গাড়িতে তাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. অমিত বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত জালালের ছেলে নয়ন জানান, আমাদেরকে ভূয়া জালিয়াতি মামলায় বিগত ২০১৩ সাল পর্যন্ত হয়রানি করে আসছে রামচন্দ্রদীর ওমর আলী। তাদের হয়রানিতে অতিষ্ঠ আমাদের পরিবার। তাও আমরা শান্তিতে সমাধান করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছি। কিন্তু সর্বশেষ হাজিরাতে মো. জালাল উদ্দিন উপস্থিত হতে পারেননি। কারণ বিবাদী ওমর আলী তাদের লোকবল নিয়ে ২৬ মার্চ ভোরে মো. জালাল উদ্দীন ও তার ২ ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাদের ব্যক্তব্য ছিল, যদি তাদের আমাদের জায়গা লিখে না দেই তাহলে ২ ছেলেকে মেরে ফেলব। এই ভয়ে আমার বাবা জালাল ২৯ মার্চ হাজিরাতে যেতে পারেননি। এরইমধ্যে হাজিরার মাত্র একদিন আগে আমার বৃদ্ধ বাবাকে রাতের আঁধারে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।  

মৃতের নাতী আব্দুল্লাহ জানান, প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী ওমর আলীর নাতী সফিকুল ইসলাম, ছেলে মনির হোসেন, আমির হোসেন, আমজাদ হোসেন, নাতী তারেক ও জমির দালাল ইদ্রিস আলী (লভা) আমাদের হয়রানি করে আসছে। এদের কারণে আজ আমার নিরীহ দাদা জালাল মারা গেছেন। আমরা এর বিচার চাই।
 
মৃত জালালের ছেলে মিলন জানান, ৩০ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার পর থানা হাজতে আমর বাবার সঙ্গে দেখা করলে তিনি বলেন, তাদেরকে জায়গা না লিখে দিলে এভাবে হয়রানি করবে এবং মেরে ফেলতে পারে । তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনারে কেউ কিছু বলছে। তখন তিনি তেমন কিছু বলেননি। শুধু বলেছেন, আমি জামিনে বের হইয়া তাদেরকে জায়গা লিখে দিয়ে আসব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এমআরপি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।