মাগুরা: মাগুরার সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামে আতর মোল্লা (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ।
গ্রেফতাররা হলেন- বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা, একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলী, তাদের গ্রাম্য সামাজিক দলীয় সমর্থক মুরাদ মোল্যা, ফারুক মোল্যা, তরিকুল ইসলাম, আবু হুরাইরা, মহিদুল্লাহ ফকির, জাহিদ হাসান, আশরাফুল হক লাভলু, ফাতুয়ার রহমান ও আমিরুল ইসলাম। মাগুরা সদরের শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন।
এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলীর দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয়ভাবে মনিরামপুর গ্রামে তাদের দুইপক্ষের হয়ে নেতৃত্ব দেন গ্রাম্য মাতব্বর মুরাদ মোল্লা ও আব্দুল মান্নান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজার সমর্থকরা আতর আলী নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত আতর আলী একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলীর সমর্থক ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ জানান, এ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকরা ব্যাপক সহিংসতায় লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের ১১টি বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। কিছু বাড়িতে পাট কাঠি, খড়ের গাদা ও রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় জেলা পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পাশাপাশি প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্টভাবে ওই ১১ জনসহ শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে মামলা করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, মাগুরাসহ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সেই মামলায় অভিযুক্ত বেরইল পলিতা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা ও একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এফআর
