ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনাঞ্চলে বেড়েছে চালের উৎপাদন, তবু কমেনি দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
খুলনাঞ্চলে বেড়েছে চালের উৎপাদন, তবু কমেনি দাম

খুলনা: নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও খুলনাঞ্চলে বেড়েছে চালের উৎপাদন। চালের উৎপাদন বাড়লেও বাজারে দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।

ক্রেতাদের বাড়তি দামেই চাল কিনতে হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চালের দাম বাড়া, কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বেড়েছে। তিন বছরে খুলনা অঞ্চলের ৪ জেলায় ১৬ হাজার ২১ লাখ ৮৯৫ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়েছে এবং ৫৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩১১ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন করা হয়েছে। প্রতি বছর উৎপাদন বাড়ছে।

সূত্রে আরও জানা যায়, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলায় উৎপাদিত ধান ও চালের মধ্যে রয়েছে আউশ, রোপা আমন, বোনা আমন ও বোরো। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আউশ আবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৮৭৫ হেক্টর। চাল উৎপাদন হয়েছে ৫৫ হাজার ৮১৬ মেট্রিক টন।  বোরো আমন আবাদ করা হয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৮১০হেক্টর। চাল উৎপাদন ৮ হাজার ১১ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। বোনা আমন আবাদ ৯ হাজার ৮৩৫হেক্টর। চাল উৎপাদন ১১ হাজার ৯৩৫মেট্রিক টন এবং বোরো ধান আবাদ ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন।

২০২০-২১ অর্থ বছরে আউশ আবাদ হয়েছে ২৬ হাজার ৭৯০ হেক্টর। চাল উৎপাদন হয়েছে ৬২ হাজার ১৭৯ মেট্রিকটন।  বোরো আমন আবাদ করা হয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫হেক্টর। চাল উৎপাদন ৮ লাখ ৮ হাজার ২০৩মেট্রিকটন। বোনা আমন আবাদ ১০ হাজার ৭৭০হেক্টর। চাল উৎপাদন ১২ হাজার ৯৫০মেট্রিকটন এবং বোরো ধান আবাদ হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার ৪১০ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন।

২০২১-২২অর্থ বছরে আউশ আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৪৯০ হেক্টর। চাল উৎপাদন হয়েছে ৫৮ হাজার ৮৩৫ মেট্রিকটন।  বোরো আমন আবাদ করা হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১০ হেক্টর। চাল উৎপাদন ৮ লাখ ২৬ হাজার ৮৩১মেট্রিক টন। বোনা আমন আবাদ ১০ হাজার ৫১৮হেক্টর। চাল উৎপাদন ১২হাজার ৬৫৩ মেট্রিক টন এবং বোরো ধান আবাদ হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯২ হেক্টর এবং চাল উৎপাদন ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন। গত বছর ভরা মৌসুমে প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টি কম হয়েছে। ফলে আবাদে মারত্মক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে ধানের আমনের ক্ষতি হয়েছে। এ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে কৃষক ফসল আবাদ করে তাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। কৃষকদের সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে সঠিক তদরকি করা হচ্ছে। এ বছরে বোরো আবাদের সময় আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। বিগত তিন বছরে ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। ফলে চালের উৎপাদন বেড়েছে।  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে। সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছে। এই অঞ্চল চাল উৎপাদনে সফলতা লাভ করেছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কৃষক চাল উৎপাদনে উৎসাহ বোধ করছেন।

খুলনার সবচেয়ে বৃহৎ বাজারের (বড় বাজার) অন্যতম চাল ব্যবসায়ী মুরাদ ট্রেডার্সের পরিচালক জিয়াউল হক মিলন বাংলানিউজকে বলেন, চালের বাজারে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। সরবরাহের সংকটও নেই। চালের উৎপাদন বাড়লেও বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। কয়েক মাসে চালের দাম দফায় দফায় বেড়েছে। সব ধরনের চাল উচ্চমূল্যে এসে স্থিতিশীল হয়ে গেছে। তাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট কমছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এমআরএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।