ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

রোববার (২ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদারকরণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, নাটেশ্বর ও পানাম সিটি সংস্কার-সংরক্ষণ, বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ নির্মাণে সহযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংস্কৃতি দুই দেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি। কোভিডের কারণে বিগত ২-৩ বছর যাবৎ সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম জোরদারকরণের আহ্বান জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২২ সালের ০৭ আগস্ট চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালীন সময়ে দুই দেশের মধ্যে ২০২৩-২০২৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

তিনি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে আগামী ২৪-২৬ এপ্রিল মেয়াদে এশিয়া মহাদেশের ৩০টি দেশের অংশগ্রহণে চীনের শিয়াংয়ে অনুষ্ঠেয় আসন্ন ‘অ্যালায়েন্স ফর কালচারাল হেরিটেজ ইন এশিয়া’ শীর্ষক কনফারেন্সে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রদূত এ সময় ২০২১ সালের ২৭-২৮ অক্টোবর মেয়াদে চীনের বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ডায়ালগ ফর কালচারাল হেরিটেজ কনসারভেশন শীর্ষক কনফারেন্সে বাংলাদেশের ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে ‘অ্যালায়েন্স ফর কালচারাল হেরিটেজ ইন এশিয়া’ সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন। কে এম খালিদ মুন্সিগঞ্জের নাটেশ্বর প্রত্নস্থল পার্ক নির্মাণের পাশাপাশি সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত পানাম সিটির সংস্কার-সংরক্ষণে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া তিনি সিডনি অপেরা হাউজের আদলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘বঙ্গবন্ধু অপেরা হাউজ’ নির্মাণেও চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা কামনা করেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মোট ৫০৯টি পুরাকীর্তি বা প্রত্নস্থল রয়েছে। এসব পুরাকীর্তিসমূহের সংস্কার-সংরক্ষণে চীন প্রযুক্তিগত ও কারিগরিভাবে সহযোগিতা করতে পারে। এক্ষেত্রে চীন তাদের প্রত্নতত্ত্ববিদ ও প্রত্ন-বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব সেক্টরে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক তৈরিতে সহযোগিতা করতে পারে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের পুরাকীর্তিসমূহের সংস্কার-সংরক্ষণে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলা একাডেমি ও চাইনিজ ন্যাশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে সামান্য মতভেদ রয়েছে এবং সেটি নিরসন হলে দ্রুত এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী নুরুল ইসলাম ও আয়েশা সিদ্দিকা, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক কাউন্সিলর লি ওয়েন ইউয়ে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।