ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইবি হলের বৈধ শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
ইবি হলের বৈধ শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে হল প্রশাসন। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

রোববার (২ মার্চ) হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম ও সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হলের আবাসিক শিক্ষক ও অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. পার্থ সারথি লস্কর ও সহকারী প্রক্টর ও ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম জুয়েল।  

অফিস আদেশে কমিটির সদস্যদেরকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস থেকে লালন শাহ হলে তার এক বন্ধুর কক্ষে গেস্ট হিসেবে থাকা শুরু করেন ভুক্তভোগী ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই হলে আবাসিকতার জন্য আবেদন করেন। পরে লালন শাহ হলের ৪২৮ নম্বর কক্ষে তার সিট বরাদ্দ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ওই সিটে থাকা ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মুন ক্যাম্পাস থেকে চলে গেলে তিনি তার বরাদ্দ করা দুই সিটের কক্ষে নিজের জিনিসপত্র রেখে আসেন এবং অবস্থান শুরু করেন।

গত ৩০ মার্চ বাইরে থেকে কক্ষে গিয়ে তিনি দেখেন তার তোশক-বালিশ ও বই-খাতাসহ অন্য জিনিসপত্র করিডোরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী সিদ্দিক তাকে জানান, হলের ৪২৭ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম তাকে ডেকেছে। ওই কক্ষে গেলে তিনি কোন রুমে থাকেন এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ছাত্রলীগকর্মী তরুণ, ফাহিম ও রাজু। এ সময় ভুক্তভোগী তার আবাসিকতাপ্রাপ্ত কক্ষে থাকার বিষয়ে তাদের জানান।

একপর্যায়ে তারা বলেন, কে তোরে হলে তুলছে? এসব আবাসিকতার কাহিনী বাদ দে। আমরা যা বলব হলে তাই হবে। তুই আমদের চিনিস? এখন ভালোয় ভালো ৪২৮ (কক্ষ) থেকে সবকিছু নিয়ে কোথায় যাবি যা। পরে নিরুপায় হয়ে বৈধ কক্ষ থেকে বের হয়ে বন্ধুর কক্ষে আশ্রয় নেন মাহাদী। শনিবার (১ এপ্রিল) আবাসিকতা নিশ্চিত ও নিরাপত্তা চেয়ে হল প্রভোস্টের কাছে আবেদন করেন তিনি। অভিযুক্তরা সবাই শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।