ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘পরবর্তী জেনারেশনকে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখাই স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
‘পরবর্তী জেনারেশনকে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখাই স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শন’ নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী: ফাইল ফটো

ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শন হলো-পরবর্তী জেনারেশন স্মার্টভাবে গড়ে উঠে যেন বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ঢাকায় আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (বিএলপিএ) নবনির্মিত প্রধান কার্যালয়ে স্থলবন্দরগুলোকে স্মার্টরূপে গড়ে তোলার লক্ষে বিএলপিএ আয়োজিত ‘স্মার্ট স্থলবন্দরের পথে’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সৌভাগ‍্যবান কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো স্মার্ট নেতৃত্ব পেয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর স্মার্ট নেতৃত্বের কারণে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ‍্য কন‍্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। একসময়ে স্থলবন্দর সেবা বলতে কিছু ছিল না, সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান হতো। এখন এসব অপকর্ম বন্ধ হয়েছে। বন্দরগুলোতে অবকাঠামো বেড়েছে। নতুন স্থলবন্দর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্বের কারণে। তিনি সব ধরনের চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।

খালিদ মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত‍্যার পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রথম টেলিফোন সিস্টেমকে এনালগ থেকে ডিজিটাল করার ব‍্যবস্থা করেন। পর্যায়ক্রমে অন‍্যান‍্য সেক্টর এনালগ থেকে ডিজিটাল হতে থাকে। এখন পুরো বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করছেন। এ লক্ষে দেশের নাগরিক, সমাজ  ও দেশকে স্মার্ট হতে হবে; কথায় নয়; যার যার মাধ‍্যমে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শন হলো-পরবর্তী জেনারেশন স্মার্টভাবে গড়ে উঠে যেন বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।  

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএলপিএ’র চেয়ারম্যান মো. আলমগীর।  

বক্তব্য রাখেন বিএলপিএ’র সদস্য ( উন্নয়ন) ফাহমিদা আক্তার, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম‍্যান কমডোর আরিফ মোহাম্মদ মোস্তফা, বিএলপিএ’র সদস্য (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর ও বিএলপিএ’র সদস্য (প্রশাসন) এস এম মাহফুজুল হক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নিরন্তন প্রচেষ্টা ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই এ প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব স্থলবন্দর বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা স্মার্ট হতে যেয়ে অন্যান্য ব্যবস্থাপনা যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাংলাদেশের স্থলবন্দরের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্কের বিষয়টি নজর রাখতে হবে। তথ্য সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের অটোমেশনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
এমআইএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।