ঢাকা: দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই। তবে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তা একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দলীয় দুই সংসদ সদস্যের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
ম্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য এম. আব্দুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম সম্পর্কে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
টেবিলে উপস্থাপিত প্রশ্নর উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই। তবে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তা ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রোগ্রাম (বিআরএসপি) প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে যার অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এ প্রকল্পে আইর্যাপ স্টাডি’র মাধ্যমে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কসমূহ সড়ক নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে রেটিং প্রদান বিষয়ক গবেষণামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত আছে। এ কার্যক্রমের আওতায় সড়কের নিরাপত্তা ও জিওমেট্রি’র ভিত্তিতে বিভিন্ন জংশনসমূহ উন্নয়নের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে তা ৩০-১১-২০২৭ নাগাদ বাস্তবায়ন হবে।
অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য দিদারুল আলমের করা প্রশ্নের লিখিত উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিআরটিএ’র উদ্যোগে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ- শ্লোগানটিকে সামনে রেখে ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই সিস্টেমে প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে না এসে ডাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) সার্ভারের সাথে ফিশার ম্যাচ করতঃ বায়োমেট্রিক দিয়ে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কোনো প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেম (বিআরটিএ-আইএস) এ রেজাল্ট ইনপুট দেওয়া সম্ভব নয়। রেজাল্ট ইনপুট না দেওয়া হলে প্রার্থীর অনলাইনে আবেদন করার কোনো সুযোগ নাই। তাই পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক ছাড়া ভারী যান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
এসকে/এমজে