ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সংবিধানের সাংঘর্ষিক বিষয় বাদ দিতে কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
সংবিধানের সাংঘর্ষিক বিষয় বাদ দিতে কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর

ঢাকা: রাষ্ট্রধর্ম ইসলামসহ সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে যেসব বিষয় সাংঘর্ষিক, সেগুলো বাদ দেওয়ার জন্য সংবিধান পর্যালোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান করে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ১৪৭ বিধিতে উপস্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অংশ নিয়ে হাসানুল হক ইনু এ প্রস্তাব দেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

ইনু বলেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া সরকার গঠন করলেও শেখ হাসিনা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিএনপিকে বাধ্য করেছিলেন সংসদীয় পদ্ধতিতে প্রত্যাবর্তন করতে। শেখ হাসিনাই দ্বাদশ সংশোধনীর কারিগর, ৭৫-এ হারিয়ে যাওয়া সংসদের সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার কারিগর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রজ্ঞা, দৃঢ়তা প্রকাশ পায় ৯১ সালেই।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংসদ এগিয়ে চলার প্রশংসা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার আরও সম্পূরক আইন-কানুন, আরও অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থা। প্রশাসনের উপর আরও নজরদারি ব্যবস্থা। আরও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে যে প্রস্তাবগুলো আলোচনায় আসে সেগুলো আমলে নিয়ে, বিবেচনায় নিয়ে সংবিধান সংশোধন করা উচিত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করে এটা করা উচিত।  

তিনি বলেন, কেবল মাত্র অনাস্থা বিল, অর্থ বিল, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা বিষয় বাদ দিয়ে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে এমপিদের আরও আইন তৈরিতে ক্ষমতা প্রদান, স্থায়ী কমিটিকে উন্মুক্ত করা, সকল স্থানীয় সরকারে নির্বাচিতদের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা, সংবিধানের ৫৯, ৬০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা প্রয়োজন।  

এ জাসদ নেতা বলেন, রাষ্ট্রের কোনো লিঙ্গ, ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত নাই। স্বয়ং মহানবী মদিনা সনদে কোনো রাষ্ট্রীয় দলিলে বিসমিল্লাহ ব্যবহার করে নাই। অপর দিকে ধর্মকে উনি কোনো সময়ই ব্যবহার করেন নাই। জেনারেল জিয়া এবং জেনারেল এরশাদ সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম সংযোজন করেছেন। সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এই সাংঘর্ষিক অবস্থা আমাদের বিব্রত করছে। এর থেকে রেহাই পেতে এবং সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে যা যা সাংঘর্ষিক সব বিলোপ সাধন করার বিবেচনা করা উচিত।

 বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৩
এসকে/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।