ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দিনমজুরকে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দিনমজুরকে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার

ঢাকা: ফরিদপুরের পোয়াইল গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই জামাল গ্রুপ ও হাশমত গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও দলাদলিসহ মামলা মোকদ্দমায় লেগেই ছিল। প্রতিপক্ষ জামাল গ্রুপকে ঘায়েল করতে পরিকল্পিতভাবে নিরীহ দিনমজুর আকমলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন ঘাতক আত্তাব শেখ।

সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানাধীন তেঁতুলতলা এলাকা থেকে আত্তাব শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কামরুল আহসান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার আত্তাব শেখ কুখ্যাত খুনি, ডাকাত ও পেশাদার অপরাধী হিসেবে পরিচিত। তিনি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার দৈবকিনন্দনপুর গ্রামের আহাম্মদ শেখের ছেলে।

পুলিশ সুপার কামরুল আহসান বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদপুরের পোয়াইল গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত জামাল গ্রুপ ও হাশমত গ্রুপ নামে দুটি দল গ্রাম্য দলাদলি, আধিপত্য বিস্তার ও মামলা মোকদ্দমায় লিপ্ত রয়েছে। প্রায় উভয় গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি ও খুনাখুনি হয়ে থাকে। এরকম এক ঘটনায় ২০১৯ সালে জামাল গ্রুপের দেলোয়ার ওরফে দেলু নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় হাশমত গ্রুপের ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে। এই হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষকে চাপ দিতে থাকেন।

তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে ১৭ মার্চ প্রতিপক্ষ জামাল গ্রুপকে ঘায়েল করার জন্য আসামি আত্তাব শেখ তার সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দিনমজুর আকমলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। শুধু তাই নয়, এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে হত্যাকাণ্ডটি জামাল গ্রুপ ঘটিয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে বাদী হয়ে হাশমত গ্রুপের প্ররোচনায় জামাল গ্রুপের ১৭ জনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলটি প্রথমে স্থানীয় থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলার তদন্তের ভার সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম ইউনিট নেয়। প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারী আত্তাবকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নিজের এবং তার সহযোগীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে স্বীকার করেছেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।