ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফ্ল্যাটে মিলল রক্তাক্ত গৃহবধূর লাশ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
ফ্ল্যাটে মিলল রক্তাক্ত গৃহবধূর লাশ  প্রতীকী ছবি

গাজীপুর: ভাড়াটিয়া গৃহবধূ অসুস্থ শুনে ফ্ল্যাটে দেখতে যান বাড়ির মালিক। সেই ফ্ল্যাটে গিয়ে যে দৃশ্য দেখেন, তাতে তার অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম।

বালিশ চাপা দেওয়া অবস্থায় রক্তাক্ত মুখে বিছানায় পড়ে আছে ওই গৃহবধূর মরদেহ।  

পরে পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।  

বুধবার (১২ এপ্রিল) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চন্নাপাড়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় ঘটেছে এই ঘটনা।

নিহত হলেন- নেত্রকোনা সদর থানার পাটালি এলাকার ইসলাম উদ্দিনের মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৩০)।  

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম।  

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।  

পুলিশ জানায়, গত ৬ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে কুমিল্লার বুড়িচং থানার বড়বাড়ি এলাকার গফুর মিয়া ছেলে মো. আল আমিনের (৩৪) সঙ্গে তাসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ৪ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। শ্রীপুর উপজেলার চন্নাপাড়া এলাকায় ৩তলা বাসার নিচতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন তারা। গত ৪/৫ মাস ধরে ওই বাসায় থাকতেন তারা। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।  

এলাকাবাসী জানায়, বুধবার রাতে সাহরি খাওয়ার পর আলআমিন তার ভাই মেহেদী হাসান রিমনকে মোবাইল ফোনে তাসলিমা অসুস্থতার কথা জানিয়ে খোঁজ নিতে বলে। পরে রিমন উত্তরা থেকে বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানায়। বাড়ির মালিক তাৎক্ষণিক নিচতলার ফ্ল্যাটে এসে বাইরের থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। পরে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে বালিশ চাপা দেওয়া মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় তাসলিমা আক্তারের মরদেহ দেখতে পায়।  

নিহতের স্বজনদের দাবি, স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো নিহত তাসলিমার। তাসলিমাকে রাতে খুন করে পালিয়ে যায় তার স্বামী আলআমিন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫, এপ্রিল ১২, ২০২৩
আরএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।