ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাদারীপুরে হোটেল কক্ষে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৩
মাদারীপুরে হোটেল কক্ষে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

মাদারীপুর: মাদারীপুর একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে মাহামুদ সিদ্দিক (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে শহরের পুরানবাজার এলাকার ইসলামিয়া আবাসিক হোটেল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিদ্দিক বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হস্তিকুন্ড এলাকার ওহাব মিয়ার ছেলে। তিনি বিভিন্ন জেলায় সুপারির ব্যবসা করতেন।

জানা গেছে, বুধবার বিকেলে সুপারি বিক্রি করার জন্য বরিশাল থেকে মাদারীপুরে আসেন সিদ্দিক। পরে বিভিন্ন আড়তে সুপারি বিক্রি করা শেষ করে বুধবার দুপুরের দিকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তিনি ইসলামিয়া আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন। এরপরে রাতে সেখানে খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন। সকালে হোটেলে স্টাফরা কক্ষটি পরিস্কার করার জন্য সিদ্দিককে ডাকাডাকি করেন। তবে তার কোনো সাড়া না পাওয়ায় হোটেলের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হোটেলের ওই কক্ষের দরজা ভেঙে সিদ্দিকের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

ইসলামিয়া আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগেও সিদ্দিক নামে ওই ব্যক্তি মাদারীপুরে এসে আমাদের হোটেলে থেকেছেন। তিনি যেই কক্ষে উঠেছেন সেখান থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় আমরা দ্রুত পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে তার মরদেহটি উদ্ধার করে। তার মৃত্যুটি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মাহামুদ সিদ্দিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তারপরেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।