ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অসাম্প্রদায়িক-মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গড়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
অসাম্প্রদায়িক-মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গড়ার আহ্বান

ঢাকা: পহেলা বৈশাখ বাঙালির হাজার বছরের জাতীয়তাবাদী চেতনা আর অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।  

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত সমৃদ্ধ মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি গড়ে তুলতে, এ চেতনার লালন-পালন ও বিকাশ সাধন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) শিশু-কিশোরদের নিয়ে খেলাঘর ঢাকা মহানগরী কমিটির বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উৎসবে এসে এসব কথা বলেন তারা।  

দেশের সবচেয়ে বড় শিশু-কিশোর সংগঠনটির ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে বাংলার সংস্কৃতিমনা মানুষকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়াসহ স্বতস্ফূর্তভাবে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে বাংলা নববর্ষ বরণে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান আলোচকরা।

জাতীয় সঙ্গীত এবং এসো হে বৈশাখ- গানে বাংলা নতুন বছরকে আবাহনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করেন খেলাঘরের ভাই-বোনেরা।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন না হলে অন্ধকারেই নিমজ্জিত থাকতাম। এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আলোর অভিযাত্রায় আছি আমরা। এ পথে আমাদের এগিয়ে নেবে বাঙালি সংস্কৃতি এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ মনে করেন, বাঙালির পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার বছরের এই অর্জন বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচিত করে একটি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক জাতি হিসেবে। তাই সব বাধা নির্মূল করে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে।

উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সেই শক্তি অর্জনের প্রেরণাও দেয় নববর্ষ বরণ উৎসব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

নিগৃহীত বিজ্ঞান শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা না করা গেলে মঙ্গল বার্তা থাকতে দেবে না মৌলবাদীরা। দেশ-জাতিকে পশ্চাৎপদ রেখে স্বার্থসিদ্ধির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। সর্বজনীন উৎসবগুলোতে বর্ণাঢ্য ঝলমলে আয়োজনসহ বিজ্ঞান চিন্তা-চেতনার প্রসারই পারবে এ ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে।  

উৎসবে সভাপতিত্ব করেন খেলাঘর ঢাকা মহানগরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ।  

শুভেচ্ছা জানিয়ে এতে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কামরুল হাসান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম গোলাপ।  

উৎসবে গান, কবিতা, নাচসহ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা পরিবেশন করেন মহানগরীর বিভিন্ন শাখা আসরের ভাই- বোনেরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
টিএ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।