ঢাকা: সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রোববার (১৭ এপ্রিল) এক আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লক্ষ নির্যাতিত মা- বোনদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা। বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এছাড়া গভীর শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করেন বক্তারা।
তারা বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়। মুজিবনগর সরকারে নেতৃতে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যদুয় ঘটে।
১৭ এপ্রিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। এছাড়া ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন, যার ফলে বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের রূপরেখা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
বক্তারা এই ঐতিহাসিক দিবসের চেতনায় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দিবসটি উপলক্ষ্যে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং জাতির সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
টিআর/এসএ