ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রীর চাপ নেই গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলোতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
যাত্রীর চাপ নেই গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলোতে

ঢাকা: ঈদের বাকি আর দুই থেকে তিন দিন। এরই মধ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঘরমুখো মানুষ।

এ সময়ে রাজধানীর বাস টার্মিনাল ও কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর চাপ থাকার কথা থাকলেও তা দেখা যায়নি। গাবতলী এক রকম ফাঁকাই, ঘরমুখো মানুষের তেমন ভিড় নেই বাস কাউন্টারগুলোতে। আর কল্যাণপুরেও যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে নির্দিষ্ট বাসের জন্য।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর টেকনিক্যাল, গাবতলী বাস টার্মিনাল ও গাবতলী রজব আলী মার্কেট স্টেশনে দেখা যায়, যাত্রীদের তেমন একটা ভিড় নেই। কাউন্টার থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যাচ্ছে শিডিউল মেনেই। রাস্তার অবস্থাও তুলনামূলক ভালো থাকায় যানজটের অজুহাতও নেই এবার। গাবতলী পর্বতা, আমিনবাজার পর্যন্ত দেখা গেছে ফাঁকা।

পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও টিকিট বিক্রেতারা বলছেন, আজ ২৮ রমজান। এদিন আবার সরকার ছুটি ঘোষণা করেছে। সে হিসেবে চাপ যা ছিল তা ১৮ এপ্রিল। তাই গাবতলীতে চাপ নেই।  তবে ঈদের আগে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ কিছুটা বাড়তে পারে।

টেকনিক্যাল শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা সুমন বলেন, যাত্রীর চাপ ছিল মঙ্গলবার বিকেল থেকে। এখন তো অনেক যাত্রীতো কাউন্টারে মালামাল রেখে অফিস করতে যাচ্ছেন। কেউ কেউ শুধু হাজিরা দিয়েই গাড়িতে উঠেছেন। রাতে সবচেয়ে বেশি যাত্রী হয়। তবে অন্যান্য ঈদের ন্যায় এবার যাত্রীর ভিড়টা লক্ষ্য করা যায়নি।

জেআর পরিবহনের কুষ্টিয়ার যাত্রী ইমরান হোসেন বলেন, মূলত বুধবার রাতেই চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু টিকিট না পাওয়ায় বাড়ি যাওয়া পেছাতে হয়েছে একদিন।

সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, এবার ভাবছিলাম ঈদ যাত্রা খুবই নাজুক হবে। গরম আর যানজট মিলিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে এসে দেখছি কাউন্টারে কোনো চাপ নেই। শিডিউল বিপর্যয়ও নেই। ৫/৬ ঘণ্টার মধ্যেই আশা করি পৌঁছে যাব মায়ের কাছে।

গাবতলী রজব আলী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কাউন্টারে যাত্রী নেই। অর্ধশত কাউন্টারের মধ্যে বেশ কিছু বন্ধ। আল হামরা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টার বাস সময়মতো ছেড়ে গেছে গন্তব্যের উদ্দেশে। অন্য বছরের মতো এবার ভিড় নেই, পাইনি যানজটের খবরও।

যাত্রী কম থাকার পেছনে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এবার অনেকে আগেই পরিবার রেখে আসছেন। আবার ২০ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করায় ২৭ রমজান উপলক্ষ্যে একটা বড় অংশ আগেই চলে গেছেন।

আল হামরা পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন যাত্রী কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, গাবতলীতে এবার দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীর ভিড় নাই। দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা যাচ্ছেন পদ্মা সেতু হয়ে। আবার পাবনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুরের অনেক যাত্রী এবার যানজট এড়াতে ও সময় বাঁচাতে আরিচা হয়ে যাচ্ছেন। অনেক বছর পর এবারই প্রথম খুবই সুন্দর ঈদযাত্রা হচ্ছে। শুধু গরমটাই বেশি। বাসের ভাড়াও গত বছরের মতো রয়ে গেছে, বাড়ানো হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এইচএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।