ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নওগাঁয় মহিলা দলের নেত্রীর বহিষ্কারের দাবি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
নওগাঁয় মহিলা দলের নেত্রীর বহিষ্কারের দাবি 

নওগাঁ : নওগাঁ জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মাসরেকা বানু চৌধুরী’র বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্য ও একক কর্তৃত্বে মনগড়া কমিটি গঠনের অভিযোগ এনেছেন সংগঠনটির একাংশের নেতাকর্মীরা।  

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল)  দুপুরে শহরের কেডির মোড় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।

জেলা মহিলা দলের সম্পাদক ফাতেমা খাতুনকে অশিক্ষিত আখ্যা দিয়ে দুজনকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম শেফা।

তিনি অভিযোগ করেন, নওগাঁ জেলা মহিলা দল অত্যান্ত সুসংগঠিত ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি সভানেত্রী মাসরেকা বানু চৌধুরী চক্রান্তের মাধ্যমে দলকে নিষ্ক্রিয় ও দুর্বল করে দেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। উপজেলাগুলোতে কমিটি করতে গিয়ে অর্থ বাণিজ্য করছেন তিনি। কমিটি করার ক্ষেত্রে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনো মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সভানেত্রী সীমা চৌধুরী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার মতাদর্শের লোকজনদের কমিটিতে নিয়েছেন। বিশেষ করে মান্দা, সাপাহার ও ধামইরহাট উপজেলায় অনিয়ম করে কমিটি গঠনের অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খাতুনকে অশিক্ষিত আখ্যা দেওয়া হয়। যার কারণে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।  

তাই দলকে বাঁচাতে নওগাঁ জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী মাসরেকা বানু চৌধুরী সীমা ও সম্পাদক ফাতেমা খাতুনকে বহিষ্কারের দাবী জানান সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ সভাপতি পারভীন বানু, সামিনা পারভীন পলি, মমতাজ বেগম, শবনম মোস্তারী কলি, সাজেদা বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম বেগম, জামিলা আক্তার, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তারসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মহিলা দল সভানেত্রী মাসরেকা বানু চৌধুরী সীমা মোবাইল ফোনে বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর নওগাঁ মহিলা দলকে সসংগঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। উপজেলাগুলোয় দলের মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে। সভা করতে গেলে একটি গ্রুপ আসলেও অন্য গ্রুপ অনুপস্থিত থাকে। আমি বার বার চেষ্টা করেছি সব পক্ষকে একত্রিত করে সত্যিকারের রাজপথের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে জায়গা করে দিতে। কিন্তু নিজেদের মতবিরোধের কারণেই একত্রিত করা যায়নি। ’

অর্থ লেনদেনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বড় ঘরের মেয়ে। পরিবার থেকে কোনোদিনই অর্থ বাণিজ্য শিখিনি। আর দলের এই সংকটপূর্ণ মুহূর্তে অর্থ লেনদেনের প্রশ্নই আসে না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।