ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাপ নেই চাঁদপুর লঞ্চঘাটে, যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণ

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
চাপ নেই চাঁদপুর লঞ্চঘাটে, যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণ

চাঁদপুর: ঈদুল ফিতরের পঞ্চম দিনে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিক। ঈদের পরদিন থেকে অনেকেই বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হন।

গত তিনদিন যাত্রী অন্য সময়ের মতো। তবে আগামী শুক্র ও শনিবার (২৮-১৯ এপ্রিল) যাত্রী বাড়তে পারে বলে জানালেন লঞ্চ মালিক প্রতিনিধিরা। এখন যাত্রীরা অনেকটা আরামদায়ক ভ্রমণ হিসেবে চাঁদপুর থেকে সদরঘাটে যাচ্ছেন।  

বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবস্থান করে দেখা গেল যাত্রী সংখ্যা কম। ঈদ পরবর্তীকালে যে পরিমাণ যাত্রী সংখ্যা হওয়ার কথা তেমন নেই। প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর লঞ্চগুলো সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। কোনো যাত্রী এখন আর লঞ্চে দাঁড়িয়ে যেতে চান না। কারণ অপেক্ষা করলেই আরেকটি লঞ্চ এসে ঘাটে ভিড়ছে।  

বুধবার সকাল ৮টার দিকে সিডিউল সময় নির্ধারণ ছিল এমভি ঈগল-৩ লঞ্চের জন্য। এটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যাত্রা বাতিল করে। সকাল ৯টার দিকে একই কোম্পানির এমভি ঈগল-৭ দুই লঞ্চের যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়ে যায়। এতেও অতিরিক্ত যাত্রী হয়নি।

আর সকাল ১০টার দিকে সদরঘাট থেকে চাঁদপুর ঘাটে আসে এমভি ইমাম হাসান। এই লঞ্চে বেশকিছু যাত্রী ছিল। একই সময়ে সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি ঈগল-৯। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি বোগদাদিয়া-১৩। এটি হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী, চাঁদপুর ও ঢাকার মধ্যে নিয়মিত চলাচল করে।

ফরিদগঞ্জ থেকে আসা যাত্রী শামীম বাংলানিউজকে বলেন, ঘাটে এসে পেয়েছি এমভি রফ রফ। এটি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছেড়ে যায়। নিচ তলার সব আসনে যাত্রী আছে। দাঁড়িয়ে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। যে কারণে পরের লঞ্চের অপেক্ষায় আছি।  

চাঁদপুর সদরের বালিয়া এলাকার যাত্রী রোকেয়া বেগম ও তার স্বামী আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগের দিন গত শুক্রবার যখন বাড়িতে এসেছি, তখনও লঞ্চে কোনো ভিড় ছিল না। আজকেও কোনো ভিড় নেই। এবার আমাদের লঞ্চ আসা-যাওয়া অনেকটা আরামদায়ক হয়েছে। আগে ঈদের সময় লঞ্চে দাঁড়ানোর জায়গা পেতাম না।  

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আজগর আলী সরকার বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি আধা ঘণ্টা পর পর লঞ্চ আছে। যাত্রীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ঈদের পর থেকে আজকে পর্যন্ত স্বাভাবিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো যাচ্ছে। তবে এখনও কিছু কিছু মানুষ ঢাকা থেকে চাঁদপুরে আসছেন। আগামী শুক্র ও শনিবার ঢাকামুখী যাত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছি।  

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বরত ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর ঈদের আগ থেকে এখন পর্যন্ত লঞ্চে যাত্রী স্বাভাবিক। কোনো স্পেশাল লঞ্চের প্রয়োজন হয়নি। আমাদের নিয়মিত ২৫টি লঞ্চ ঢাকা যাচ্ছে এবং ২৬টি লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে আসছে। এছাড়া চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জের মধ্যে চলাচলকারী ছোট লঞ্চগুলো নিয়মিত চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।