ফরিদপুর: ফরিদপুরর চরভদ্রাসন উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে তিন জন আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘর বাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে ৫৫টির অধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান জানান, তার ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের উপর বসবাসরত হাজীডাঙ্গী ও বালিয়াডাঙ্গী গ্রামে ২০টি টিনের দোচালা ঘর ও কিছু ফলজ ও বনজ গাছের ক্ষতি হয়েছে।
চর ঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বদরুজ্জামান বদু মৃধা জানান, তার ইউনিয়ে ৩৩টি টিনের দোচালা ঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ব্যক্তিগত তহবিল হতে তিনি সকল পরিবারে প্রত্যেককে ২ হাজার করে নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চরকালিকাপুর ২৫টি, গোপালপুর ৫টি ও চরকল্যাণপুর গ্রামে ৩টি ঘর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাজিরটেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলি জানান, তার ইউনিয়নে নতুন ডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের বারান্দার চাল ঝড়ে উড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে ফেলেছে। এছাড়া কলা বাগান, পাকা ধান, সবজি ও ভুট্টা ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।
চরহরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, তার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির আংশিক ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ২টি বাড়ি ঝড়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভুট্টা ও কলা বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চরভদ্রাসন হাসপাতাল সূত্র জানায়, ঝড়ের সময় দেয়াল ধসে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিএস ডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল হালিম, যশোরের শ্যামনগর থানার মহিনুর ও পাইকগাছার অসিনা নামে ৩ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে ফরিদপুরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফসলের ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হেক্টর জমির পরিপক্ক ভুট্টার আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু নতুন রোপণ করা কিছু গাছ ও রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) লিটন ঢালী বলেন, ইতোমধ্যে চেয়ারম্যানদের নিকট হতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সাধ্যমত সহায়তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এসএম