ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আসন্ন বাজেটে সাতক্ষীরার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বরাদ্দের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
আসন্ন বাজেটে সাতক্ষীরার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বরাদ্দের দাবি

সাতক্ষীরা: আসন্ন জাতীয় বাজেটে নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন প্রকল্প, সাতক্ষীরার বসন্তপুর নৌ-বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সাতক্ষীরায় বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল, ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপনসহ প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক কমিটির সভায় এই দাবি জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল।

সভায় বক্তারা বলেন, সারা দেশে উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এপারের জেলাগুলোতেও উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু করেছে। কিন্তু সেই উন্নয়নের ঢেউ যশোর-নড়াইল-খুলনা-বাগেরহাট পর্যন্ত এসে পৌঁছুলেও সাতক্ষীরা জেলা বঞ্চিত রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার উন্নয়নের গতি খুবই ধীর। প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত এই এলাকায় শিক্ষার হার কম। দরিদ্রতার হার দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে মৌলবাদ জঙ্গিবাদসহ নানা সংকটে জর্জরিত এই এলাকা। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে এই এলাকাকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরার উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যে যুগান্তরকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সেগুলোর
দৃশ্যমান অগ্রগতি খুবই কম।

বক্তারা আরও বলেন, জেলার জলাবদ্ধতা সমস্যা ও নদী ভাঙন রোধে সরকার অসংখ্য প্রকল্প গ্রহণ করলেও সেসব প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্নীতি বন্ধ করে কাজের মান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ নাগরিক কমিটির ২১ দফা দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানানো হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৮ মে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় এবং অ্যাড. শেখ আজাদ হোসেন বেলালকে সংগঠনের আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল ওয়াহেদ, কিশোরী মোহন সরকার, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, প্রফেসর ড. দিলারা বেগম, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, শেখ হারুন অর রশিদ, মাহাফুজা রুবি, নাজমুন আসিফ মুন্নি, আলী নুর খান বাবুল, শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, তপু হাসেমী, শেখ মনিরুল ইসলাম, আব্দুল ওহাব সরদার, আদিত্য মল্লিক, আব্দুস সামাদ, জিএম মনিরুজ্জামান, মুনসুর রহমান, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক আব্দুস সামাদ, অ্যাড. মুনির উদ্দিন, মন্ময় মনির, বায়েজিদ হোসেন, কমরেড আবুল হোসেন, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, আমজাদ হোসেন, উপাধ্যক্ষ তপন কুমার শীল, আনোয়ার জাহিদ তপন, আব্দুস সাত্তার, শফিকুল ইসলাম এবং ডা. মো. নজরুল ইসলাম।

সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।