ঢাকা: কুষ্টিয়ার কুমারখালির সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযান পরিচালনা করেছে কুষ্টিয়া জেলা দুদক কার্যালয়ের সদস্যরা। এ সময় তারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র যাচাই করেন, পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে কথা বলেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে চাকরি প্রত্যাশীদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে কয়েকজন দালালের মাধ্যমে ৩৪ লাখ টাকা নেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন। তিনি গ্যারান্টি স্বরূপ নিজ নামীয় চেকও দেন। কিন্তু চাকরি প্রত্যাশীরা চাকরি না পাওয়ায় ১৮ লাখ টাকা ফেরত দেন। দুদক সদস্যরা এ তথ্য যাচাই করে সত্যতা পান। পরে তারা সেলিনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি অভিযোগের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ ছাড়া নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পায় দুদক। পরে নোয়াখালী জেলা দুদক কার্যালয় সদস্যরা একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
তারা অম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন দুলুর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু তিনি অভিযোগ সম্পর্কে অস্বীকার করেন।
তার দাবি, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়। এখানে চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।
অভিযান পরিচালনার সময় দুদক সদস্যরা ভাতা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন। একজন প্রতিবন্ধীর ব্যাপারে যাচাই করে তারা দেখেন ওই ব্যক্তি নিয়মিত ভাতা পেয়ে আছেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে প্রতিবেদন হয়েছে তা মিথ্যা। অম্বরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন দুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে দুদক সূত্রটি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
এসএমএকে/এমজে