ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের কারণে আমরা সমুদ্রসীমা জয় করতে সক্ষম হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রোববার (৭ মে) 'টেকসই মেরিটাইম অর্থনীতি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প প্রণয়নে জাতির পিতা শেখ মুজিবের স্বপ্ন, অবদান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী মহাযজ্ঞ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার পর দেশের সমুদ্রসীমায় ভারত ও মিয়ানমারের দখলদারিত্ব ছিল। সে সময়েই অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সমুদ্রসীমা উদ্ধার করার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছিলেন। তার সেই উদ্যোগের জন্যই আজ আমরা সমুদ্রসীমা জয় করতে সক্ষম হয়েছি।
আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, আমাদের যে পানি বা সমুদ্রসম্পদ রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধু এই গুরুত্ব বুঝতে পেরে মেরিন সেক্টরে মনোনিবেশ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি শিপিং করপোরেশন নির্মাণ করেন। রাশিয়া থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এনে কাপ্তাইয়ে পুঁতে রাখা মাইন অপসারণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই খুলনার শিপইয়ার্ডে ছোট জাহাজ তৈরি শুরু হয়। সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের কাজও তার হাত দিয়েই শুরু হয়। এছাড়া এই সেক্টরের দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে ১৯৭৪ সালে তিনি মেরিন একাডেমি তৈরি করেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মেরিন সেক্টরের উন্নয়নে কাজ করছেন। মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে মেরিন একাডেমি স্থাপনের অঙ্গীকার করেছেন। তার নেতৃত্বেই মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ২০০ নটিকাল মাইলের বিশাল এক সমুদ্রসীমায় দেশের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু নৌ-পরিষদের সভাপতি আশরাফ ইবনে নূরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য এস এম শাহজাদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আবদুস সামাদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রিয়ার এডমিরাল মো. খুরশেদ আলম।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এসসি/এসআইএ