ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এনজিও আশার কর্মী খুন, একজনকে মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
এনজিও আশার কর্মী খুন, একজনকে মৃত্যুদণ্ড

ঢাকা: পাঁচ বছর আগে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এনজিও সংস্থা আশার কর্মী মো. বেলাল হোসাইন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ সংক্রান্ত মামলায় রেজা ওরফে রাজা (৩৮) নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ মে) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ঘটনার আলামত নষ্ট করার দায়ে রাজাকে আরও সাত বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

রায় ঘোষণার সময় আসামি রাজা কাঠগড়ায় ছিলেন। তাকে এ সময় স্বাভাবিক দেখা গেছে। রায় ঘোষণার পর বিচার সাজার পরোয়ানা দিলে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবির চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লোন কালেকশন করতে আসামি রেজা ওরফে রাজার বাসায় গেলে এনজিও সংস্থা আশার কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসাইনকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করে ফেলা হয়। পরে খিলগাঁও বালুর মাঠে নিয়ে গলা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর এক মাঝির সহযোগিতায় পেট কেটে নাড়িভুঁড়ি বের করে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আদালত আসামি রেজাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ মে এনজিও সংস্থা আশার কার্যালয় থেকে ঋণের কিস্তি সংগ্রহ করতে বের হন জুনিয়র কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসাইন। লোন কালেকশন করে দুপুরের পরও অফিসে ফিরে না আসায় তাকে ফোন দেওয়া হয়। তাকে না পেয়ে সহকর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে আশার কর্মকর্তারা জানতে পারেন মো. বেলাল হোসাইন খিলগাঁও এলাকা থেকে ওইদিন মোট এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা ঋণের কিস্তি সংগ্রহ করেন। সর্বশেষ খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা রেজা ওরফে রাজার বাসায় গিয়েছিলেন কিস্তি সংগ্রহে।

আশার কর্মকর্তারা রাজার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সোনিয়া জানান, তাদের বাসায় বেলাল হোসাইন এসেছিলেন। কিন্তু টাকা না নিয়ে চলে যান। একপর্যায়ে আসামি রেজাকে ফোন দিলে তিনিও কিছু জানেন না বলে জানান। পরে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নিখোঁজের দুদিন পর ২০১৮ সালের ১৪ মে সকাল নয়টার সময় খিলগাঁও বালু নদীতে এক যুবকের লাশ ভেসে ওঠে। পরে আশা কর্মকর্তারা সেটি বেলালের লাশ বলে শনাক্ত করেন। তার গলায় প্লাস্টিক মোড়ানো এবং পেটের নাড়ি ভুঁড়ি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছিল। লাশ যেন ভেসে না ওঠে সেজন্য পেটের ভেতর পাথর ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে এ ঘটনায় আসামি রাজাকে গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
কেআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।