বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী-মাদারতলা সড়কের মাঝখানে পিলার স্থাপন করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। উপজেলার গাবতলা নামক স্থানে সড়কটির প্রবেশমুখে দুটি পিলার থাকায় বড় যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক রক্ষার কথা বলে মাস-দুয়েক আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত ধোপাখালী-মাদারতলা সড়কের প্রবেশ মুখে দুটি এবং এর এক কিলোমিটার দূরে নিজ বাড়ির সামনে সড়কের ওপর দুটি কনক্রিটের পিলার স্থাপন করেন ধোপাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন। ফলে সড়কে কোনো ট্রাক ও বড় গাড়ি ঢুকতে না পারায় ওই এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত সবজি ছোট গাড়িতে করে একাধিকবার পরিবহন করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা, চলাচলের সময় বেশি লাগাসহ নানা ধরনের ভোগান্তি বেড়েছে।
পথচারী মোহসিন মল্লিক বলেন, রাস্তার মুখেই দুইটা পিলার দিয়ে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত করার কোনো মানে হয় না। এই পিলারের জন্য গেল দুই মাসে কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। আর মাঝে মধ্যেই এক সঙ্গে কয়েকটি অটো এবং ভ্যান এলে জটলা হয়ে যায়। তখন অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা লাগে যানবাহন চালকদের। পিলারগুলো ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই সড়কের পাশেই চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের ভবন রয়েছে। বড় গাড়ি গেলে ওই ভবন কেঁপে ওঠে, এ কারণেই হয়ত মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা না করে চেয়ারম্যান নিজের সুবিধার জন্য সড়কের মাঝে পিলার দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, আমি নিজে থেকে পিলার স্থাপন করিনি। সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন অনুযায়ী সড়কে পিলার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু ধান ব্যবসায়ীদের ধান পরিবহনে সমস্যা হওয়ায় তারা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন।
এলজিইডি, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরিফুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনের সড়কের ওপর থাকা দুটি পিলার উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কের প্রবেশমুখে থাকা পিলার দুটোও উঠিয়ে ফেলা হবে।
এলজিইডি নির্মিত ২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে সাইনবোর্ড-গজালিয়া এবং মাজার-পাটগাতি জেলা মহাসড়ককে সংযুক্ত করেছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এবং সহস্রাধিক যান চলাচল করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
আরএ