ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সফলতা জনগণের ব্যর্থতা আমার: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
সফলতা জনগণের ব্যর্থতা আমার: মেয়র আতিক

ঢাকা: মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এই তিন বছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) যত ধরনের সফলতা আছে তার সব কৃতিত্ব জনগণের। আর সেই সঙ্গে যত ব্যর্থতা আছে তা আমার নিজের কাঁধে নিলাম।

শনিবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবন হলরুমে মেয়র হিসেবে ৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার দায়িত্বগ্রহণের ৩ বছরে ডিএনসিসির অগ্রগতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন খাল থেকে গত এক বছরে ২ লািখ টন বর্জ্য আমরা অপসারণ করেছি, পানি প্রবাহ ঠিক করতে। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড থেকে ৩০ লাখ ঘনফুট মাটি সরিয়ে এর কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করেছি। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর আবর্জনার ৫২টি এসটিএস নির্মাণ করেছি, এ বছর আরও নয়টির কাজ চলমান আছে। আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। সবাই সব এলাকাতে এসটিএস চায় কিন্তু কেউ জায়গা দিতে চায় না। তাই আমরা চিন্তা করেছি জায়গা যেন নষ্ট না হয়, সে কারণে আমরা আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস নির্মাণ করবো।

তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে আমরা উন্মুক্ত স্থান ও পার্কগুলো ব্যবহার উপযোগী এবং দখলমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি। অনেকগুলো ইতোমধ্যে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো করতে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল, আমরা সেগুলো রিকভার করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি পার্কের উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে যেন একটিও গাছ না কাটা হয়। গাছগুলো রেখেই আরও নতুন নতুন গাছ লাগানোর মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সে অনুযায়ীই কাজ করে যাচ্ছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজধানীতে আমরা ৪৬ হাজার লাইট লাগিয়েছি। লাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয় সুইচের মাধ্যমে। ৪৬ হাজার লাইটের মধ্যে ৭০০ লাইট জ্বলছে না। বিভিন্ন সময় রাস্তা কাটা হচ্ছে ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে লাইটগুলো জ্বলছে না। আগে ১৭'শ লাইট জ্বলতো না, এটাকে কমিয়ে আমরা ৭০০ তে নিয়ে এসেছি। লাইট গুলো ঠিক হয়ে যাবে।

রাস্তার সিগন্যাল গুলোকে অটো করা যায় কিনা এমন প্রশ্ন যেভাবে মেয়র বলে, বিশ্বের কোথাও সিগন্যাল হাতে চলে না। শুধুমাত্র আমাদের দেশের সিগন্যাল হাতে চলে। লাইট ও সিগন্যাল ইস্যু নিয়ে চলতি মাসে মিটিংয়ে বসবো। এর টেকনিক্যাল সমাধান নিয়ে কাজ করব।

মিরপুর ১০ নম্বর শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া এলাকায় সফটওয়্যার তৈরি করে কিউআর কোড এর মাধ্যমে চাঁদাবাজি হচ্ছে এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজি তথ্য পেলে সে যেই হোক তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কোন চাঁদাবাজি চলবে না। নতুন নাটক শুরু হয়েছে। মেয়র হুঁশিয়ার জামিয়া মেয়র বলে, কারো নামে যদি কোন অভিযোগ ও প্রমাণ পাই, সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আয়ন তার নিজস্ব গতিতে চলে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল বিভাগীয় প্রধান ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এমএমআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।