ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অনৈতিক কাজের অভিযোগে গ্রাম পুলিশের নারী সদস্যকে জুতাপেটা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
অনৈতিক কাজের অভিযোগে গ্রাম পুলিশের নারী সদস্যকে জুতাপেটা

পিরোজপুর: পিরোজপুরে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে শাহানাজ বেগম (২৮) নামে গ্রাম পুলিশের এক নারী সদস্যকে জুতাপেটা করেছেন স্থানীয়রা। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে।

জানা গেছে, সদর উপজেলার তিন নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশের ওই নারী সদস্যকে গত ৮ মে দিবাগত রাত ১০টার দিকে জুতাপেটা করেন স্থানীয় একদল যুবক। পরে তা মোবাইলে ধারণ করে হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী শাহানাজ বেগম স্থানীয় মধ্য চুঙ্গাপাশা গ্রামের প্রবাসী মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী।  

তার সঙ্গে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়, স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও দুর্গাপুর বাজারের ব্যবসায়ী মো. কবির মাঝির বিরুদ্ধে। তিনি ওই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের জালাল মাঝির ছেলে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ঘরে বসে গ্রাম পুলিশের ওই নারী সদস্যকে জুতাপেটা করা হচ্ছে। পাশেই দেখা যায় অভিযুক্ত যুবক কবির মাঝিকেও। সেখানে পোশাক পরিহিত উপস্থিত ওই ইউনিয়নের দফাদার মোয়াজ্জেম হাওলাদার এবং আরও বেশ কয়েকজন। দফাদারের পায়ের জুতা নিয়েই এক নারী অভিযুক্ত ওই নারীকে জুতাপেটা করছেন। এ সময় আকাশ নামের এক যুবকের নাম ধরে ডাকতে শোনা যায়।

স্থানীয়রা জানান, গ্রাম পুলিশের ওই নারী সদস্যের সঙ্গে যুবলীগ নেতা কবির মাঝির দীর্ঘদিনের অনৈতিক সম্পর্ক। ওই রাতে ওই নারীর ঘরে অনৈতিক কাজের সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে কবির মাঝিকে ৪০ এবং গ্রাম পুলিশের ওই নারী সদস্যকে ৩০ জুতাপেটা করা হয়।

এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশের ওই নারী সদস্যের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এমন কাজে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কবির মাঝির সঙ্গে তার কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নেই। ওই রাতে কবির মাঝি তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় মাত্র। তার দেবর মাহাবুব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

অভিযুক্ত কবির মাঝির সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ওই নারীর সঙ্গে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে তা কোনো খারাপ সম্পর্ক নয়। ওই রাতে গ্রাম পুলিশের ওই নারী সদস্য তার নিরাপত্তার কথা বলে তাকে (কবির মাঝি) বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে বলেন।

এ বিষয়ে গ্রাম পুলিশের দফাদার মো. মোয়াজ্জেম হাওলাদার জানান, তিনি ওই রাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে সেখানে যান। পরে স্থানীয়রা গ্রাম পুলিশের ওই নারী সদস্যকে জুতাপেটা করে ছেড়ে দেয়।

বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নোমান মৃধা জানান, ওই রাতে ওই নারীর অনৈতিক কাজের খবর পেয়ে সেখানে দফাদার মোয়াজ্জেম হাওলাদারকে পাঠানো হয়। আমি এলাকায় না থাকায় স্থানীয়রা বিষয়টি আমাকে মুঠোফোনে জানায়।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।