ঢাকা: তরুণ সমাজকে তামাকের করাল থাবা থেকে রক্ষা করতে হলে তামাক আইন সংশোধন ও আগামী বাজেটে অধিক হারে তামাক কর বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ূথ ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েল বিয়িং আয়োজিত ইয়ুথ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত তামাক বিরোধী ইয়ূথ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তারা।
এ সময় তামাক কর বৃদ্ধির পক্ষে গণ-স্বাক্ষরের আয়োজন করে সংগঠনটি। প্রায় ৩০০'র অধিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এতে স্বাক্ষর করেন।
তরুণরা তাদের বক্তব্যে জানায়, বিশ্বে সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম প্রথম দিকে। দেশে ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে।
প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে প্রাণ হারায় এবং অনেকে অকালে পঙ্গু হয়ে যান। কিন্তু সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল প্রভৃতি তামাকজাত পণ্য সহজলভ্য হওয়ায় এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশেষ করে নিম্ন স্তরের সিগারেটে কর বৃদ্ধির মাত্রা নগণ্য হওয়ায় তামাক পণ্য থেকে গেছে সহজলভ্য। এর ফলে তরুণ জনগোষ্ঠীর মাঝে বিড়ি সিগারেটের মত ক্ষতিকর পণ্যের ব্যবহার কমানো সম্ভব হচ্ছে না।
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে কিশোর বয়সী ধূমপায়ীদের শতকরা ৯০ শতাংশ মাত্র ১৩ বছর বয়সে এ ক্ষতিকর পণ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পরে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ধূমপান পরিহার করার কথা বলছে। সেই অবস্থায় তামাকের সহজলভ্যতা জাতীয় পর্যায়ে এক নতুন বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এসব ঝুঁকি মাথায় রেখে সচেতন শিক্ষার্থীরা তামাক পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্যে সামনের বাজেটে কর সংশোধনীর দাবিতে তারা স্বাক্ষর করেন।
এসময় তারা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে শতভাগ ধূমপান-মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণে পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল, তরুদেরকে রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ, তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী বন্ধ ও বিড়ি-সিগারেটের খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন ফেস্টুন নিয়ে ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়।
পাশাপাশি তারা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালীকরণে আইনের খসড়া দ্রুত পাস করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এসএইচডি/ এসএম