রাজশাহী: শেষ বৈশাখে আবারও খরার কবলে পড়েছিল পদ্মাপাড়ের রাজশাহী। টানা এক সপ্তাহ তাপদাহের পর বিভাগে স্বস্তির বৃষ্টি ঝরেছে।
এতে রুক্ষ প্রকৃতিতে ফিরেছে সতেজতা। কিছুটা হলেও সজীব হয়ে উঠেছে নুয়ে পড়া গাছের সবুজ লতাপাতা। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সারাদেশে কমবেশি বৃষ্টিপাত হবে এমন ধারণাই করেছিল রাজশাহীবাসী।
মোখার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হলেও ঘাম ঝরছিল রাজশাহীর মানুষের। তাই গত কয়েকদিন হতাশায় সময় পার করছিল রাজশাহীবাসী। যদিও সকাল থেকে বিভাগের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়েছে। গত কয়েকদিন মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও মঙ্গলবার তা মাঝারি তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছিল।
তবে দুপুরের পর হঠাৎ তৃপ্ত রাজশাহীর আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখা দেয়। বিকেল ৫টা বাজতেই পশ্চিম আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। এর পরই দমকা হাওয়াসহ নামে মুষলধারা। কিছুক্ষণ বৃষ্টির পর অবশ্য ঝলমলে রোদও দেখা গেছে রাজশাহীর আকাশে।
সন্ধ্যার পর আবার বৃষ্টি নামে। এতে যে গুমোট পরিবেশ ছিল, তা কেটে যায়।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রেজওয়ানুল হক বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাঝারি তাপপ্রবাহ)। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৭১ শতাংশ।
বিকেল ৫টা ১০ মিনিট থেকে ৫টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত পনের মিনিট বৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহীতে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ মে রাজশাহীতে ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। আগামী কয়েক দিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলেও জানান রেজওয়ানুল
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
এসএস/এমজে