ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের নৌপথকে পৃথিবীর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই। নদীমাতৃক বাংলাদেশকে পৃথিবীর কাছে তুলে ধরতে চাই।
মঙ্গলবার (১৬ মে) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী হোটেল রূপসী বাংলায় ছয়টি প্রকল্পের নির্মাণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ বলেন।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি নুসরাত নাহিদ ববি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌপথের আরও উন্নয়নে প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছে। কুচক্রিমহল পদ্মা সেতুর স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল। তারা ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সফল হয়েছেন। বিশ্বব্যাংক ও দাতা সংস্থাগুলো দেখেছে বাংলাদেশ অর্থের অপচয় করে না; সক্ষমতা আছে। আমরা আনন্দিত। বিশ্বব্যাংক আমাদের সঙ্গে আছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রগুলোতে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএর পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. আইয়ুব আলী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশন লিমিটেডের প্রতিনিধি মুকিতুর রহমান, এনডিই লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান মুস্তাফিজ এবং দায়েং (Daeyang) ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে জি হো ইউম (Ji-Ho- Youm)।
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সহজতর করার লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর ছয়টি প্রকল্পের নির্মাণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্পগুলো হলো- অবকাঠামোসহ দুইটি জেনারেল কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ, তিনটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও একটি ডেক অ্যান্ড ইঞ্জিন পার্সোনেল ট্রেনিং সেন্টার (ডিইপিটিসি) এর উন্নয়ন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা।
জেনারেল কার্গো টার্মিনাল দুইটি হলো- ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জস্থ পানগাঁও এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ। প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তিনটি হলো- চাঁদপুর, বরিশাল ও ঢাকার শ্মসানঘাট। এর মধ্যে শ্মসানঘাট টার্মিনালটি নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। ডিইপিটিসিটি নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। প্রকল্পগুলোর কাজ এ বছরের জুনে শুরু হয়ে ২০২৫ এর মে মাসে শেষ হবে।
পানগাঁও জেনারেল কার্গো টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ১৬৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। তমা কন্সট্রাকশন লিমিটেড কাজটি বাস্তবায়ন করবে। আশুগঞ্জ জেনারেল কার্গো টার্মিনালটি নির্মাণ করবে বাংলাদেশ-কোরিয়ার যৌথ কোম্পানি ‘ন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স(এনডিই)-দায়েং। ’ এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২১০ কোটি টাকা।
প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চাঁদপুর, বরিশাল ও ঢাকার শ্মসানঘাট নির্মাণে ব্যয় হবে যথাক্রমে ৯৩ কোটি ৪৩ লাখ, ৯৩ কোটি ৩০ লাখ এবং ১৮৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এগুলো বাস্তবায়ন করবে যথাক্রমে তমা কন্সট্রাকশন লিমিটেড, বাংলাদেশ-কোরিয়ার যৌথ কোম্পানি ‘এনডিই-দায়েং’ এবং কোরিয়ার কোম্পানি দায়েং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্সট্রাকশন লিমিটেড। ডিইপিটিসি’র কাজটি বাস্তবায়ন করবে এনডিই লিমিটেড, বাংলাদেশ। এজন্য ব্যয় হবে ৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এসকে/এসআইএ