ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

রূপগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
রূপগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবি ও পল্লী বিদ্যুতের তারাব জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা ইয়াসমিনকে অপসারণের দাবিতে তারাব জোনাল অফিস ঘেরাও করেন গ্রাহকরা। এ সময় তারা বিদ্যুতের অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

রোববার (২১ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে রাখেন সাধারণ গ্রাহকরা।

এ সময় জুবায়ের, শরীফ, আমেনা, সালেহাসহ কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুতের তারাব জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা ইয়াসমিনের সঙ্গে সাধারণ গ্রাহকরা কথা বলতে গেলেই তিনি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও গালিগালাজ করেন।

গত কয়েক মাস ধরে তারার পৌরসভায় পল্লী বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার লাগানো হচ্ছে। প্রিপেইড মিটারে গ্রাহকের টাকা বেশি কেটে নিচ্ছে বলে এই গ্রাহরা অভিযোগ করেন।

তারা বলেন, প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জেও পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন ভোগান্তি। আগে ডিজিটাল মিটারের ভাড়া ছিল ১০ টাকা কিন্তু প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ৪০ টাকা। হঠাৎ করে মিটারের ভাড়া ৪ গুণ হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাঝে যদি এভাবে বিদ্যুতের বিলও বেশি আসে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?

বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা আরও জানান, অনেকেই লেখাপড়া জানে না। এ কারণে মিটারে টাকাও রিচার্জ করতে না পারায় দোকানে গিয়ে টাকা রিচার্জ করতে হচ্ছে তাদের। সেক্ষেত্রে মিটারে রিচার্জের জন্য দোকানদারকে দিতে হয় অতিরিক্ত ২০-৩০ টাকা। যেটি সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির আরেক নাম। এসকল ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে তারা এলাকাগুলো থেকে প্রিপেইড মিটার তুলে নেওয়ার দাবি জানান। এছাড়া ডিজিএম ফারহানা ইয়াসমিন গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, এ কারণে তার অপসারণের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, আমি সাধারণ গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করি, ব্যাপারটি মিথ্যা। তবে যারা অবৈধ সংযোগ ব্যবহার করে তাদের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেই না। তারাই আমার ব্যাপারে এসব বলছে।

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের ব্যাপারে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রিপেইড মিটার লাগাচ্ছি। প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে বিষয়টি সঠিক নয়। তবে আগে ডিজিটাল মিটারের ভাড়া ছিল ১০ টাকা কিন্তু প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ৪০ টাকা, এটি মন্ত্রণালয় করেছে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। যেহেতু প্রিপেইড মিটার নতুন একটি সিস্টেম, প্রথমে ব্যবহারে সাধারণ মানুষের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, যা পরে ঠিক হয়ে যাবে।

নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মাশফিকুল হাসান বলেন, ডিজিএম ফারজানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে কেউ যদি সুনির্দিষ্টভাবে কোনো লিখিত অভিযোগ করে তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রিপেইড মিটারের ভাড়া ৪ গুণ বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি বলেন, ডিজিটাল মিটারের চেয়ে প্রিপেইড মিটারের দাম বেশি হওয়ার কারণে এ মিটারের ভাড়া বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৩
এমআরপি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।