ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি মো. আজহার আলী শিকদার (৬৮)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২।
রোববার (২১ মে) ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (২২ মে) সকালে র্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল হক বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে মো. আজহার আলী শিকদার (৬৮) সহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মত মানবতাবিরোধী অপরাধের ৭টি ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।
এই ৭টি ঘটনার মধ্যে ২ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ ২২ জনকে হত্যা, ৪০/৫০ বাড়ির মালামাল লুন্ঠনের পর আগুনে পুড়িয়ে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা, ২ জনকে অমানুষিক নির্যাতনে গুরুতর জখম এবং ৪ নারীকে দীর্ঘদিন রাজাকার ক্যাম্পে আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা। এই যুদ্ধাপরাধী রাজাকার হিসেবে ১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাটের কচুয়া ও মোড়লগঞ্জ উপজেলায় অপর সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৬ জুলাই এই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (বাংলাদেশ) মামলা (নম্বর-০৫/২০১৭) দায়ের করা হয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-২ বর্ণিত মানবতাবিরোধী পলাতক যুদ্ধাপরাধীকে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
এসজেএ/ এসএম