ঢাকা, বুধবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩১, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

একান্তে সময় কাটানোর চুক্তিতে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ক্ষোভে নাসরিনকে হত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
একান্তে সময় কাটানোর চুক্তিতে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, ক্ষোভে নাসরিনকে হত্যা পুলিশের কবজায় আসামি কমল।

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় নাসরিন আক্তার (৪০) নামের এক নারীকে হত্যার ঘটনায় ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২২ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল।



এর আগে ২১ মে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় কুড়িগ্রামের উলিপুর থানাধীন পূর্ববানায় (চিলমারীরচর) অভিযান চালিয়ে আসামি কমলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার কমল একই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে এবং সিদ্ধিরগঞ্জে তিনি মুনলাইট গার্মেন্টসের পাশে থাকতেন।

এ ঘটনায় ওই গার্মেন্টসের পাশের চান্দু আকন্দের ছেলে অভির উদ্দিন (৩৫) নামে আরেক আসামি পলাতক রয়েছেন।

নিহত নাসরিন সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ির নয়ন মিয়ার স্ত্রী।

১৯ মে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি পশ্চিমপাড়ায় শিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ভিকটিমের বাবা আশরাফ দেওয়ান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১৯ মে রাতে তিনি ও অভির উদ্দিনসহ থানার পাংখা শাহ মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়। ওরশের গান শেষে রাত অনুমান ৩টা ১৫ মিনিটে এ মামলার ভিকটিম নাসরিনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা একসঙ্গে চা পান করেন। এরপরে অভির উদ্দিনের সঙ্গে ভিকটিমের অর্থের বিনিময়ে একান্তে সময় কাটানোর কথা হলে ভিকটিম সম্মত হন। এর ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে নিয়ে জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত একটি ঘরে প্রবেশ করেন। ইতোমধ্যে ভিকটিমের মোবাইলে একটি ফোনকল আসে এবং তিনি ফোনে কথা বলতে বলতে বের হয়ে যান। তাৎক্ষণিক ঘরে দুইজন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কমল ও অভির কাছ থেকে নগদ নয় হাজার চারশ টাকা নিয়ে যায়। এতে তারা ভিকটিমের ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে কমল ভিকটিমকে টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সঙ্গে আবারও সময় কাটানের জন্য প্রস্তাব দেন। ভিকটিমও সেই প্রস্তাবে রাজি হন। পরে নাসরিনকে জালকুড়ি থানাধীন তালতলা খালপাড় বালুর মাঠে নিয়ে যান। এ সময় কমল তার গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে ভিকটিমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।  পরে তারা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ভাড়া বাসায় এসে উভয়ই গ্রামের বাড়িতে চলে যান।

আসামি কমলকে গ্রেপ্তারের পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে, ভিকটিমের মোবাইলফোন ও ঘটনার সময় আসামির পরিহিত সাদা লুঙ্গি ও গেঞ্জি জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
এমআরপি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।