ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আসন্ন বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৯ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
আসন্ন বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: আসন্ন জাতীয় বাজেটে আঞ্চলিক অসমতা হ্রাস ও বৈষম্য নিরসনে ওয়াশ (পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন) খাতে তহবিল বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও পিপিআরসির চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেরও অন্যতম পূর্বশর্ত।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওয়াটারএইড, পিপিআরসি, ইউনিসেফ, ফানসা, বাউইন, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, অ্যান্ড ওয়াটার পভার্টি, ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল ও এমএইচএম প্ল্যাটফর্মে তিনি এ আহ্বান জানান।

ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আসন্ন অর্থবছরের জন্য ওয়াশ খাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন ও সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। তিনি চর, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলসহ জলবায়ুগত ঝুঁকির আওতাধীন সুবিধাবঞ্চিত এলাকা এবং আন্তঃনগর বৈষম্য এ দুটি বিষয়ে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, নিরাপদভাবে ব্যবস্থাকৃত শতভাগ পানীয় জল এবং স্যানিটেশন সংক্রান্ত জাতীয় ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি বহু খাতভিত্তিক (মাল্টি এজেন্সি) সমন্বয় নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে আমাদের মাঝারি শহর (সেকেন্ডারি টাউন) এবং নগরায়ণ প্রক্রিয়ার আওতাধীন গ্রামগুলোতে (আরবানাইজড ভিলেজ) পয়োবর্জ্য (ফিকল স্লাজ) ব্যবস্থাপনার জন্য তহবিল বরাদ্দে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেরও অন্যতম পূর্বশর্ত।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কিত সফল প্রকল্পগুলো পরিবর্ধন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আরও নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ওয়াশ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি সংক্রান্ত যোগাযোগ ও সামাজিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর (আরসিসিই) জন্য তহবিল বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন শেষে আয়োজক ওয়াশ সেক্টর নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট খাতের কল্যাণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলো বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত হয়:

১. দুর্গম এলাকা (চর, উপকূল, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চল) ও আন্তঃনগর বৈষম্যের প্রতি আরও গভীর মনোযোগ প্রয়োজন।

২. পরবর্তী এডিপি বাজেটে আধা শহর, ক্রমঃবর্ধমান অঞ্চল ও নগরায়ণ প্রক্রিয়ার আওতাধীন গ্রামগুলোতে নতুন করে সৃষ্ট ওয়াশ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বর্ধিত এফএসএম (ফিকাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট) অর্থায়ন প্রয়োজন।

৩. স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত আন্তঃখাতসমূহে প্রচারণা বাড়ানোর পাশপাশি অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোও ইতিবাচক ফলাফল আনতে পারে। তবে কেবল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন আশানুরূপ ফল বয়ে আনবে না। এ লক্ষ্যে একটি মাল্টি-এজেন্সি নীতি গ্রহণে জোর দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘হ্যান্ড হাইজিন ফর অল রোডম্যাপ'-এরও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

৪. ওয়াশ খাতে উচ্চতর নীতিগত অগ্রাধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের কেন্দ্রস্থলসমূহের ওপর মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।

৫. সংশ্লিষ্ট খাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ সহনশীলতা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি যার মধ্যে রয়েছে- দুর্যোগ ঝুঁকি সংক্রান্ত যোগাযোগ ও সামাজিক সম্পৃক্ততা বাড়ানো (আরসিসিই)-সহ দুর্যোগকালীন ওয়াশ, এসএমওএসএস ও এফএসএম এসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন।

এ  সময় বক্তরা ২০৩০ সালের মধ্যে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উপকূল অঞ্চলকে নিরাপদ করতে আহ্বান জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা মে ২৪, ২০২৩
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।