ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

পাথরঘাটায় জাল সনদে চাকরি করছেন দুই শিক্ষক 

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
পাথরঘাটায় জাল সনদে চাকরি করছেন দুই শিক্ষক 

পাথরঘাটা (বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দুই শিক্ষক জাল সনদ দিয়ে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

তারা হলেন, পাথরঘাটা উপজেলার সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজের শিরিন আক্তার ও হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মো. রুহুল আমিন।

দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে।  

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব (অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা) মো. সেলিম শিকদার স্বাক্ষরিত একটি আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শিরিন আক্তার ও হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ধর্মীয় শিক্ষক মো. রুহুল আমিনসহ সারাদেশে ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে। যা গত ৮ ফেব্রুয়ারি সনদ প্রদানকারী দপ্তর প্রধান-প্রতিনিধি সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সনদের সত্যতা যাচাই করে ৬৭৮ জনের জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাথরঘাটার মো. রুহুল আমিন ও শিরিন আক্তার রয়েছেন।

এদিকে জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা এবং অবৈধভাবে গ্রহণ করা বেতন ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসরের সুবিধা প্রাপ্তি বাতিল করা ও যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতা-কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তালিকা অনুযায়ী জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ফৌজদারী অপরাধের মামলা দায়ের এবং জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জাল সনদধারী হাতেমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক রুহুল আমিনের কাছে জানতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।  

তবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা মিলন জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর জাল সনদধারী শিক্ষক শিরিন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকেও পাওয়া যায়নি।

বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আগে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি/সম্পাদক শিক্ষক নিয়োগ দিতেন। হয়তো তখন তারা তাদের মতো করে দিয়েছেন। বর্তমান সময়ে এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় তাই এরকম করা সম্ভব না।   

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।