ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে অধ্যক্ষের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
বরিশালে অধ্যক্ষের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

বরিশাল: বরিশালের আনসার উদ্দিন মল্লিক কলেজের অধ্যক্ষ এবং সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ইতিহাস বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস আলী মিয়ার বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এসময় ঘরে থাকা মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকারসহ অর্ধ লাখেরও বেশি নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে চোরচক্র।

শুক্রবার (২৬ মে) ভোররাতের কোনো এক সময় নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাকাঠি প্রফেসর গলির ওই বাসার বেডরুমের জানালার গ্রিল কেটে এ চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইউনুস আলী মিয়া জানান, রাতে বাসায় তিনি, তার বড় মেয়ে ও নাতনিরা ছিলেন। নাতনিদের রাতে ভয় করে বিধায় তারা সবাই এক রুমেই ঘুমান।

তিনি বলেন, রাত ৩টার পর অল্প কিছু সময় ঘুমিয়ে রাত সোয়া ৪টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিছানা থেকে উঠি। রুম থেকে বের হতেই পাশের রুমের আলমারি খোলা এবং মালামালা এলোমেলো অবস্থায় খাটের ওপর দেখতে পাই। তখন চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে পুরো ঘর তল্লাশি করি। এসময় দেখতে পাই, আমার শোবার ঘরের জানালার গ্রিল কাটা এবং ঘরের প্রধান দরজা বাইরে থেকে আটকানো। আর পুরো ঘর তল্লাশি করে বাসার সামনের ড্রইং রুমে থাকা মেয়ে জামাইয়ের মোটরসাইকেলটিও খুঁজে পাইনি। পরে স্বজন ও স্থানীয়দের মাধ্যমে সেই দরজা খোলা হয় এবং থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

মুহাম্মদ ইউনুস আলী মিয়ার বড় মেয়ে শিক্ষিকা রোকসানা কলি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করে বুঝতে পারছি যে, চোরচক্র জানালার গ্রিল কেটে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। হয়তো বিষয়টি দেখতে বা বুঝতে পারলে চুরির সঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। মূল্যবান মালামাল চুরি গেলেও আল্লাহ প্রাণে রক্ষা করেছেন- এটাকেই এখন বড় বিষয় হিসেবে দেখছি।  

তিনি আরও বলেন, বাইরে থেকে আটকানো ঘরের দরজা খুলে বের হয়ে আমার মেয়ের টাকা জমানো মাটির ব্যাংকটি ভাঙা অবস্থায় বাড়ির সীমানার মধ্যেই দেখতে পাই। সেই সঙ্গে বাড়ির সীমানার মধ্যে থাকা টিনের ছাপড়া ঘরটির ভেতরে সিগারেটের অংশবিশেষও খুঁজে পাই।

এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনুস আলী মিয়া বলেন, চোরচক্র মোটরসাইকেল, কয়েক ভরি স্বর্ণালংকার এবং ৫৫ হাজারের মতো নগদ টাকা নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, ইছাকাঠির এই সড়কসহ শাখা সড়কগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা, কিছুদিন আগে ড্রেনের কাজ হলেও সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে ভাঙাচোরা এই সড়কে চুরিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলেও পুলিশ সেভাবে টহল দেয় না। এমনকি নজরদারীর জন্য সড়কের কোথাও সিসি ক্যামেরাও নেই। পুলিশী টহল ও নজরদারী না থাকায় চোরচক্র সুযোগ পেয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এমএস/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।