ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইমো বিকাশে প্রতারণা, ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
ইমো বিকাশে প্রতারণা, ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার 

ঢাকা: ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের নামে ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতেন ২২ বছর বয়সী যুবক মো. রাজন আলী।  

অন্যদিকে বিকাশ কর্মকর্তা সেজে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিতেন রঞ্জু আহম্মেদ (২২) নামে এক মুদি দোকানি।

 

এছাড়া বিভিন্ন মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে সিম কিনে সেসব সিম অপরাধ চক্রের সদস্যদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করতেন রাব্বি নামের ২০ বছরের আরেক যুবক।

মিরপুর থানার একটি মামলা তদন্ত করতে তাদের তিনজনের প্রতারণার বিষয় জানতে পারে পুলিশ।  

শনিবার (২৭ মে) পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে নাটোর জেলার লালপুর এবং রাজশাহী জেলার বাঘা থানা এলাকা থেকে এ তিন দুর্ধর্ষ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৮ মে) বিকেলে মিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মহসীন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।  

তিনি জানান,সাহায্যের নামে মানুষদের বিপদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেন রাজন। এলাকাবাসীর কাছে ইমো রাজন নামে পরিচিত তিনি। ইমো সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের নামে বিভিন্ন গ্রুপ খুলেন রাজন। এই গ্রুপে কেউ যুক্ত হলে ওই ব্যক্তিকে টার্গেট করা হয়। এরপর বিভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ওই ব্যক্তির ইমোতে বিপুল পরিমাণ স্টিকার ম্যাসেজ পাঠায় রাজন। এতো ম্যাসেজে এক পর্যায়ে ওই নাম্বার হ্যাং হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গ্রুপে সহযোগিতা চান। তখন রাজন ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এই 'সমস্যা' সমাধানের জন্য তার আইডিতে ঢুকার অ্যাকসেস চান। এক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছে একটি ওটিপি যায়, ওই ওটিপির মাধ্যমে অন্যরাও অ্যাকসেস পায়। ইমোতে ঢুকে রাজন সেই ইমোর সব ম্যাসেজ পড়ে নেন এবং তার আত্মীয় স্বজন সম্পর্কে তথ্য নেন। এরপর তার আত্মীয়ের কাছে 'আমি বিপদে পড়েছি, টাকা পাঠান' 'মা অসুস্থ, টাকা পাঠান' জাতীয় ম্যাসেজ পাঠিয়ে ৫ হাজার, ১০ হাজার, ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। তার এমন বিভিন্ন গ্রুপ আছে রাজনের। তার মধ্যে রাজন স্টোরি, রাজন সলিউশন উল্লেখযোগ্য।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, নিজের দোকানে বসেই বিকাশ প্রতারণা করতেন মুদি দোকানি রঞ্জু আহম্মেদ। বিকাশ কর্মকর্তা সেজে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি।  

ওসি আরও বলেন, একজনের নামে সিম অন্যের কাছে বিক্রি করেন ফজলে রাব্বি। সাধারণত সড়কের পাশে যারা সিম বেচেন তাদের কেউ কেউ বিভিন্ন অসদুপায় অবলম্বন করে মানুষের কাছ থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ করেন। পরে সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে আরও সিম ইস্যু করেন। সেসব সিম উচ্চমূল্যে বিভিন্ন প্রতারকচক্রের কাছে বিক্রি করেন রাব্বি। সাধারণত সিমের দামের তুলনায় এগুলোর মূল্য ৪/৫ গুণ বেশি। এসব সিম দিয়েই প্রতারকরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মিরপুর থানার একটি মামলা তদন্ত করতে তাদের তিনজনের প্রতারণার বিষয় পুলিশ জানতে পারে। পরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এজেডএস/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।