ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ছিল উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে গেল বছর রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যু হয় এ রোগে।
সঙ্গতকারণেই বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে জুন-থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ‘পিক আওয়ার’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে ঝুঁকি বাড়লেও ডেঙ্গু মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ নিয়ে আশাব্যঞ্জক সফলতা পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল।
গত বছর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও পুরান ঢাকার আগা সাদেক খান লেন এলাকায় গবেষণা পরিচালনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গবেষকদল। এতে প্রাপ্ত তথ্য জার্নালে প্রকাশ করার জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে গবেষণার চুম্বক অংশ জানিয়েছেন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম ও অধ্যাপক ড. তানজিন আকতার।
অধ্যাপক ড. শেফালী বেগম বলেন, এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অনেকাংশে কমে আসবে। সেকারণে আমরা এডিস মশার উৎপত্তি রোধে কী কৌশল কার্যকরী, সেটি নিয়ে কাজ করেছি। আর কোন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি এডিস মশা জন্ম নেয় সেটিও বের করার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও পুরান ঢাকায় জলাবদ্ধ এলাকায় গাপ্পি ও জেব্রা মাছ ছাড়ি। সেখানে থাকা এডিস মশার লার্ভা এসব মাছ দ্রুতই খেয়ে ফেলে। এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকরী সমাধান হতে পারে, এটি আমরা গবেষণার মাধ্যমে পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা আরও বিস্তারিত তুলে জার্নালে ধরবো আমাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশের পর। তবে এর ফলাফল খুবই ‘সিগনিফিক্যান্ট’।
অধ্যাপক ড. তানজিন আকতার জানান, বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এডিস মশার উৎপত্তির নানা দিক বের করার জন্য কাজ করছেন, যা মার্চ থেকে শুরু হয়েছে, এখনো চলমান।
তাদের কার্যক্রম নিয়ে এ গবেষক বলেন, তারা কার্জন হল, সায়েন্স এনেক্স ভবন ও কলা ভবন এরিয়া নিয়ে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে জুন থেকে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ এখানে ওয়ান টাইম কাপ, ডাবের খোসা, কন্টেইনার আছে। সেখানে বৃষ্টির পানি আটকে থাকলে ডিম পাড়ার সম্ভাবনা বেশি। কোন ধরনের রং এর প্রতি এডিস মশার আকর্ষণ সেটিও বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান এই গবেষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
এসকেবি/এমজেএফ