কক্সবাজার: কক্সবাজারে নয় লাখ পিস ইয়াবাসহ পাঁচ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এছাড়া র্যাবের আরেক অভিযানে মাদক মামলায় ২২ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ভোরে টেকনাফে অভিযান চালিয়ে এক নারী পাঁচ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
এর আগে সোমবার (২৯ মে) দিনগত রাতে কক্সবাজারে শহরের রুমালিয়ার ছড়া এলাকা থেকে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে আটক করা হয়।
টেকনাফ থেকে নয় লাখ ইয়াবাসহ আটক পাঁচজন হলেন- টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া এলাকার আবদুল শুক্কুরের ছেলে আলমগীর হোসেন (১৯), আলমগীরের মা সোনা মেহের (৫৫), একই এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে আবুল বশর (২২), টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. ফয়সাল (৩১), হ্নীলার জাদিরপাড়া এলাকার শামশুল আলমের ছেলে এমরান প্রকাশ লাদেন (২৮)।
র্যাব জানায়, আটক পাঁচজন সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সদস্য। তাদের প্রধান আবুল বশর। সোনা মেহের, মো. ফয়সাল ও এমরানের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।
কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ার ছড়া থেকে আটক সাজাপ্রাপ্ত আসামি ওই এলাকার হাজি আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রশিদ আহমদ। একটি মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রশিদ ২২ বছর আত্মগোপনে ছিলেন।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সাইফুল ইসলাম সুমন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা চালান আসার খবরে পেয়ে জালিয়াপাড়া এলাকা অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুই লাখ পিস ইয়াবাসহ আলমগীর ও তার মা সোনা মেহের ও আবুল বশরকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকা থেকে আরও সাত লাখ পিস ইয়াবাসহ আটক করা অপর দুজনকে।
তিনি জানান, অপর এক অভিযানে কক্সবাজার শহর থেকে আটক করা হয় ২২ বছর আত্মগোপনে থাকা মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রশিদ আহমদকে। ইয়াবাসহ আটকদের নামে মামলা দিয়ে টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশের মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এসবি/আরআইএস