ভোলা: ভোলার চরফ্যাশনে দাদী-নাতির বিয়ে নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়।
গত ২২ মে (সোমবার) রাতে ৭ লাখ টাকা কাবিননামায় কোর্ট এফিডেভিট করে দাদি-নাতির বিবাহ সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, দেড় বছর আগে মৃত্যু হয় চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহে আলম বেপারির। তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সামছুন্নাহারের (৪১) সঙ্গে তাদের ছেলে জসিম উদ্দিনের ছোট ছেলে মিরাজের (২১) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা সম্পর্কে দাদি-নাতি। পরে তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় মাতব্বর বিষয়টি মীমাংসার জন্য দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করেন। এতেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে নাতি মিরাজ হোসেন বলেন, দাদা মারা যাওয়ার পর তার দাদির দেখাশোনার জন্য স্বেচ্ছায় তিনি এই বিয়ে করেছেন।
উল্লেখ্য, শামসুন্নাহার ও মৃত শাহে আলম দম্পতির ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
সব মেনে নিয়েই নাতি মিরাজ হোসেন তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন বলে জানান শামসুন্নাহার।
এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ৭ লাখ টাকা কাবিনে এফিডেভিটর মাধ্যমে মিরাজ ও শামসুন্নাহার বিয়ে করেছেন। মিরাজ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
এদিকে, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, এই দম্পতিকে এক নজর দেখতে প্রতিদিন মৃত শাহে আলম বেপারির বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ইসলামে বাবা, দাদা, দাদার বাবা এভাবে যত ওপরের দিকে যাবে এবং ছেলে, নাতি, নাতির ছেলে এভাবে যত নিচের দিকে যাবে, তাদের স্ত্রীদের বিয়ে করা হারাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এফআর