ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রীর মরদেহ, স্বামীসহ পরিবার উধাও

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
মেঝেতে পড়েছিল স্ত্রীর মরদেহ, স্বামীসহ পরিবার উধাও

ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দায় হাসিনা বেগম (২৫) নামে এক স্ত্রীর মরদেহ নিজ ঘরের মেঝেতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করেছেন ওই নিহত গৃহবধূর বাবা।

 

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের বাস্তপট্টি গ্রামের স্বামীর ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।  

নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মো. ফরহাদ মোল্যার স্ত্রী ও ভাঙ্গা উপজেলা মানিকদী-খারদী গ্রামের মোসলেম শেখের মেয়ে। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী।  

প্রতিবেশীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ফরহাদের বসতঘরের তালা মারা দেখেন। বেলা বাড়ার পরেও ঘরের ভেতরে কারো কোনো সারা শব্দ না পেয়ে বেড়ার ফুটো দিয়ে দেখেন হাসিনার মরদেহ পড়ে আছে। তবে তার স্বামী-সন্তান, শ্বশুর বাড়ির লোকজন কেউ ঘরে নেই। পরে ঘটনাটি পুলিশকে অবগত করেন।   

নিহত হাসিনার বাবা মোসলেম শেখ অভিযোগ করে বলেন, ১৫ বছর আগে আমার মেয়ে হাসিনাকে ফরহাদের সঙ্গে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যেই ফরহাদ ও তার পরিবার আমার মেয়েটাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। আমাদের ধারণা ফরহার ও তার পরিবার মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের মেঝেতে রেখে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মামলা করবো। আমরা এর বিচার চাই।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মেঝে থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে আমরা যতটুকু জেনেছি, মেয়েটা গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা আমরা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট আসার পর জানা যাবে আসল ঘটনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।