ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: প্রাণে বেঁচে যা জানালেন আক্তারুজ্জামান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা: প্রাণে বেঁচে যা জানালেন আক্তারুজ্জামান

ঝিনাইদহ: ভারতের ওড়িশার বালেশ্বেরে তিন ট্রেনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬১ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন হাজার খানেক মানুষ।

ভয়ংকর এ দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন ঝিনাইদহের মো. আক্তারুজ্জামান। তিনি ওই তিন ট্রেনের একটিতে করে ভেলরে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

ট্রেন দুর্ঘটনার পর শনিবার (৩ জুন) আরেকটি ট্রেনে করে ভেলরে গেছেন তিনি।

ফোনে তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। মনে হলো সামনে বড় ধরনের একটা বিপদ হতে হচ্ছে। শোনা যাচ্ছিল চিৎকার চেঁচামেচি।  পরে ট্রেন থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করলাম। সেটাও আর হলো না, যেতে দেওয়া হলো না। বেঁচে যাওয়া সবাইকে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়া হলো।  

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় তিন ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার বাসিন্দার সঙ্গে তার স্ত্রী নূরজাহানও ছিলেন। তারা দুজনই অক্ষত রয়েছেন। আক্তারুজ্জামান মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।  

চিকিৎসার জন্য তারা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে করে তামিলনাড়ু রাজ্যের ভেলরে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পর শনিবার সকাল ৭টায় তাদের অপর একটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে আরও অনেক বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দুর্ঘটনা কবলিত অন্য দুটি ট্রেনের মধ্যে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস বেঙ্গালুর থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। আর অন্যটি ছিল মালবাহী ট্রেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।