ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

‘শান্তিচুক্তি করে পদক পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, বাস্তবায়ন হয়নি আজও’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
‘শান্তিচুক্তি করে পদক পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, বাস্তবায়ন হয়নি আজও’

ময়মনসিংহ: শান্তিচুক্তি করে পদক পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই চুক্তি আজও বাস্তবায়ন হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি।

 

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এরপর টানা তিন মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার পরও এই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ আন্তর্জাতিক ইউনেস্কো পদক এই শান্তি চুক্তির কারণেই পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দাবি করেন।  

সোমবার (৫ জুন) বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহ নগরীর টাউল হল মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৫ বছর উপলক্ষে বিভাগীয় সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, আদিবাসী হাজং গারদের দাবি ছিল আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেটে আদিবাসী সমস্যা নিয়ে আলোকপাত থাকবে। কিন্তু বাস্তবে এই বাজেটে একটি লাইনও আদিবাসী হাজং গারদের নিয়ে কথা হয়নি। এই অবস্থায় সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা।  

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছিলেন। এই চুক্তির প্রতিটি ধারায় ভূমি ব্যবস্থাসহ সমতলের আদিবাসীদের জন্য সুযোগ সুবিধা রাখার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।  
 
এছাড়াও এই সংহতি সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচী ভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের জোরালো দাবি জানান নেতারা।

এ সময় জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাতের সভাপতিত্বে এবং জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- জাতীয় শ্রমিক জোটের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামান, শামসুল হুদা, খাইরুজ্জামান ও জেলা সিপিবির সাধারল সম্পাদক শেখ বাহার উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।