ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৪ দালাল গ্রেপ্তার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৪ দালাল গ্রেপ্তার

চাঁদপুর: গ্রামাঞ্চল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সহজ সরল রোগীদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার কারণে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে ৪ দালালকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে তাদেরকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মেহরাজ মাহমুদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. মাসুদ (২৬), সবুজ (২২), দীপ দে (২৩) ও হৃদয় দাস (২৫)।

গ্রেপ্তার মাসুদ শহরের পুরান বাজার পশ্চিম শ্রীরামদী মৃত মিরাজ বেপারীর ছেলে, সবুজ শহরের কোড়ালিয়া রোডের মো. দুলালের ছেলে, দীপ শহরের ঘোষপাড়ার বিষু দের ছেলে এবং হৃদয় শহরের পুরান বাজার মেরকাটিজ রোডের কানাই দাসের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন সকালে শত শত রোগী আসে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ নেওয়ার জন্য। রোগীরা যখন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন টিকিট কিংবা ওষুধ নেওয়ার জন্য তখনই তারা গিয়ে সিরিয়াল ছাড়া আগে টিকিট এবং ওষুধ নিয়ে দিবেন বলে টাকা নেন। আবার যারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চেম্বার থেকে বের হন, তখন তাদেরকে এক রকম জোর করে নিয়ে যান হাসপাতালের সামনে থাকা বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। যে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর দালাল হিসেবে তারা কাজ করেন।

এএসআই মেহরাজ মাহমুদ জানান, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের হয়রানি করার কারণে তারা মোবাইলে ফোনে থানায় অভিযোগ করে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে এই চারজনকে পাওয়া যায় এবং তাদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে আসা রোগীদেরকে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণীর দালাল বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। তারা সাধারণ রোগীদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম করে তাদের পছন্দের ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই সঠিক চিকিৎসা সেবা পায় না। আজকে রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।