ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘অত্যন্ত ঝুঁকিতে’ এনআইডি সার্ভার, নেই কোনো ব্যাকআপ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
‘অত্যন্ত ঝুঁকিতে’ এনআইডি সার্ভার, নেই কোনো ব্যাকআপ

ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ভাণ্ডার (সার্ভার) অত্যন্ত ঝুঁকি রয়েছে। কেননা এর কোনো বিকল্প সার্ভার বা ব্যাকআপ নেই, ফলে যে কোনো দুর্যোগে মুছে যেতে পারে নাগরিকদের তথ্য।

এমন আশঙ্কা করছেন খোদ নির্বাচন কমিশন (ইসি) কর্মকর্তারা। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির সভায় এ শঙ্কার কথা জানান কর্মকর্তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান।

সভার কার্যবিবরণীতে থেকে জানা গেছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বর্তমানে ডাটা সেন্টারের বিকল্প কোনো ডিজাস্টার রিকভারি সাইট (ডিআরএস) না থাকায় জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এজন্য গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিডিসিসিএলের টায়ার ফোর ডাটা সেন্টারে জাতীয় তথ্য ভাণ্ডরের শুধুমাত্র নিরাপদ ডাটা ব্যাক আপ নিশ্চিত করণ জরুরি। একই সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত অডিট করে জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারের ভার্নারাবিলিটিস আছে কিনা তা যাচাইও জরুরি।

আলোচনার এক পর্যায়ে সভাপতি মো. আহসান হাবিব খান বলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনো কারণে সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের সার্বিক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা বিপর্যস্ত হতে পারে। তাই দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন। এক্ষেত্রে এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীরকে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।

বর্তমানে ইসির এনআইডি সার্ভারে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন ভোটারের তথ্য সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর তথ্য। এই সার্ভারের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন দেশের নাগরিকদের এনআইডি সরবরাহ করে থাকে। আর বর্তমানে এনআইডি হচ্ছে ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তকরণের মোক্ষম অস্ত্র। এদিকে রোহিঙ্গাদের তথ্য ভাণ্ডার থাকার কারণে এই সার্ভার আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বিদেশিদের শনাক্তকরণে।

এক-এগারোর সরকারের সময়কার ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন দেশে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেন। এরপর সেই ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় গড়ে তোলা হয় এনআইডি সার্ভার।

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খানের নেতৃত্বে ওই সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এনআইডিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দুটোও যোগ করার সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নিজের স্মার্টকার্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দ দুটো যোগ করতে করার আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই করার পর সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।