ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ ছবি: প্রতীকী

রাজশাহী: ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ। খবর পেয়ে ঝুলন্ত সেই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ওই গৃহবধূর মরদেহ শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, হত্যার পর ওই গৃহবধূর মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও ঘটনার তদন্ত ছাড়া এ ব্যাপারে এখন নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের বাশপুকুরিয়া-দমাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন। গৃহবধূর নাম শহিদা বেগম (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের কান্দু আলীর স্ত্রী।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সালাউদ্দীন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ওই গৃহবধূর সঙ্গে তার স্বামীর হরহামেশাই ঝগড়া মারামারি হত। কিছুদিন আগেও কান্দু আলী তার স্ত্রীকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন। পরে পারিবারিকভাবে বিচার-সালিশ করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। শনিবার ভোরেও প্রতিবেশীরা তাদের ঝগড়া শুনতে পেয়েছেন। তাই ঘটনাটি রহস্যজনকই মনে হচ্ছে। এছাড়া তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করছেন, শহিদাকে হত্যার পর তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড হতে পারে।

রাজশাহীর বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে তার স্বামী পলাতক। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় স্পষ্ট হওয়া যায়নি এটা হত্যা না আত্মহত্যা। তাই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করা যাবে।  

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান বেলপুকুর থানার এ পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।