ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীর উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
রাজশাহীর উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন: লিটন

রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীর যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।  

শনিবার (১০ জুন) মহানগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন।

এ সময় তিনি ভোটারদের প্রতি এ আহ্বান জানান।

বিকেলে মহানগরীর মালদা কলোনী ঈদগাহ মাঠে ও কয়েরদাঁড়ায় পৃথক দুটি পথসভায় বক্তব্য দেন খায়রুজ্জামান লিটন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর গণসংযোগ ও পথসভায় মানুষের ঢল নামে।

এ সময় পথসভায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজকে মালদা কলোনী মাঠে মানুষের ঢল নেমেছে। এ একই চিত্র রাজশাহী মহানগরীজুড়ে। আমরা যেখানেই যাচ্ছি, সেখানে নৌকার পক্ষে মানুষ দলে দলে অংশ নিচ্ছে। গত ৫ বছরের মধ্যে আমি মাত্র আড়াই বছর কাজ করতে পেরেছি। কারণ করোনা মহামারি, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি, ডলারের সংকট ইত্যাদি কারণে আড়াই বছর কাজ করা সম্ভব হয়নি। মাত্র আড়াই বছরে যে কাজ করেছি, সেটা এখন সবার সামনে দৃশ্যমান। সারাদেশের মানুষ রাজশাহীর ভূয়সী প্রশংসা করছেন, যিনি বেড়াতে আসেন, তিনিই মুগ্ধ হয়ে যান। এ অর্জন ধরে রেখে রাজশাহীকে আরো সুন্দর ও বাসযোগ্য মহানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে এখন যে কাজটি বাকি আছে, সেটি হলো কর্মসংস্থান। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে এক নম্বরে আছে কর্মসংস্থান। রাজশাহীতে শিল্পকারখানা নেই বললেই চলে। যদি এখানে ১০ থেকে ২০টি কারখানা থাকতো তাহলে আপনাদের ছেলে-মেয়েদের কর্মের চিন্তা করতে হতো না। এবার আপনারা যত বেশি ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করবেন, আমি তত বেশি জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারবো, রাজশাহীর মানুষ আপনার নৌকাকে বিজয়ী করেছে, এবার আপনি তাদের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করে দেন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় রাজশাহীতে শিল্পকারখানা করতেই হবে। নওদাপাড়া ইতোমধ্যে বিসিক শিল্পনগরী-২ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে বিনোয়োগকারীদের নিয়ে এসে শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হবে। এছাড়া বেলপুকুরে চামড়া শিল্প পার্কের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটার উন্নয়নকাজও করতে চাই। পদ্মা নদী পথে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু ও বাণিজ্য আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে শুরু হবে। সেই বাণিজ্যকে আমরা রাজশাহী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত বর্ধিত করতে চাই। রাজশাহীতে নৌবন্দর করতে যাচ্ছি, জায়গা আমরা দেখে রেখেছি। এটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসার হবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

রাজশাহী থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। আপনাদের অনেক কষ্ট করে যেতে হয়। ঢাকা থেকে, খুলনা থেকে সরাসরি ট্রেন কলকাতা যায়। সেভাবে রাজশাহী থেকে সরাসরি ট্রেন ও বাস কলকাতা যাবে। এ কাজ অনেক দূর এগিয়ে রেখেছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটি চালু হবে। রাজশাহীর মানুষের কল্যাণে আরো অনেক কাজ বাকি আছে। সেই কাজগুলো করতে চাই।

পথসভায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি নাইমুল হুদা রানা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মুনতাজ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ দলীয় নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।