ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ওয়েল ট্যাংকারের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধের ঘটনায় সোহেল (৩৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে এই ঘটনায় ৪ জন মারা গেলেন।
রোববার (১১জুন) সকাল ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে সোহেলের। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবিনগর উপজেলার মিরপুর গ্রামে। বাবার নাম তাইজুল ইসলাম।
সোহেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোহেলের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মারা যায় তাজুল ইসলাম লিমন (২০)। আর শনিবার ১০ জুন) দিবাগত রাতে মারা যান হুমায়ুন কবির (৫৪) ও রুবেল (৫৪)।
রুবেলের বাড়ি ভোলার জেলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুর রহমান।
গত ৩ জুন দিবাগত রাত ১টার দিকে রূপগঞ্জে গাজী ব্রিজ সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ার্ডে ‘ওটি সাংহাই-এইট’ নামে জাহাজে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন জাহাজটির স্টাফ তাজুল ইসলাম লিমন (২০), আ. মান্নান রাহাদ (২৩), হুমায়ুন কবির (৫৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৪২), রুবেল (৩৮), সোহেল (৩৮), নাজমুল (৩৩) ও রাকিব (২৪)।
স্টাফ আ. মান্নান রাহাদ জানান, তারা ওই জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে তেল নিয়ে নরসিংদীতে যান। সেখানে তেল আনলোড করে তারা জাহাজটি রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের ডকইয়ার্ডে গিয়ে ভেড়ান। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা যখন জাহাজের ডেকে ছিলেন তখন ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হয়। এতে মুহূর্তেই তাদের শরীরে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নদীতে লাফিয়ে পড়েন। এরপর সাঁতরে পাড়ে উঠেন। তখন সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার দিন জানান, জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট ৮ রোগীকে বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩ জনকে ওই দিনই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ইমতিয়াজ ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড