ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কোরবানির বর্জ্য সন্ধ্যার মধ্যেই অপসারণের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
কোরবানির বর্জ্য সন্ধ্যার মধ্যেই অপসারণের নির্দেশ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কোরবানি দেওয়া পশুর বর্জ্য সন্ধ্যার মধ্যে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। একইসঙ্গে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে নিদিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি ও দ্রুততম সময়ে বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সাধারণত সন্ধ্যার মধ্যেই পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এবারও সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এবারও নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি দিতে হবে। এটা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে করে দূষণ না হয়।

তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করার জন্য আমরা বেশকিছু পন্থা অবলম্বন করেছি। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা এবং মানুষকে সচেতন করার কাজগুলো করা হচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভলান্টিয়ার ও জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে একটি সামাজিক টিম গঠন করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে একটা টিম করা হয়েছে। ওই টিমের মাধ্যমে এগুলো কালেকশন করা হবে। কিভাবে কোরবানি করা হবে এবং কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে ইমাম সাহেবরা যাতে করে মুসল্লিদেরকে বলেন সে বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।  

তাজুল ইসলাম বলেন, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির জন্য সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবস্থা নেবে। নির্দিষ্ট স্থানে পশুর হাট বসাতে হবে। যত্রতত্র পশুর হাট বসানো যাবে না। কারণ যত্রতত্র হাট বসালে জনগণের চলাচলে বিঘ্নিত হয়।  

সারাদেশে কতগুলো হাট বসানো হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সংখ্যাটা এখন আমরা বলতে পারব না। তবে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, উপজেলা পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সিটি করপোরেশনকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেখানে হাট বসানো যৌক্তিক হবে, সেখানে বসানো হবে।  

প্রতিবছর কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট স্থানের কথা বলা হলেও এটি বাস্তবায়ন হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় একেবারে হচ্ছে না, এটা বলা যাবে না। গত বছর সূর্যাস্ত যাওয়ার আগেই ঢাকা শহরের যত পশু কোরবানি করা হয়েছে সেগুলোর বর্জ্য ও রক্ত অপসারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে আগে এটা যত্রতত্র হত। এখন কিন্তু এটা করা হয় না। অজপাড়া গাঁয়ের মানুষকেও সচেতন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারকেও আমরা দায়িত্ব দিয়েছি।

আপনারা প্রতি বছরই বলেন যে, যত্রতত্র হাট বসানো যাবে না। তারপরও বসানো হয়, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো উৎসবে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই (সমস্যা হয়)। চীনেও যদি যান সেখানে সব সুযোগ সুবিধা আছে তারপরও উৎসবের সময় দীর্ঘ জ্যাম হয়। নিউইয়র্কের কথা যদি বলেন বা অন্য যে কথাই বলেন না কেন সব জায়গায় উৎসবের সময় একটু সমস্যা হয়। একেবারে শতভাগ নিশ্চিত করা যাচ্ছে সেটা ঠিক না। আমরা যদি দায়িত্ব পালন না করি, সিটি করপোরেশনের মেয়ররা যদি দায়িত্ব পালন না করত, সরকারি কর্মকর্তারা যদি দায়িত্ব পালন না করত, তাহলে দেখবেন হয়তো সেই শহরে বসবাস করার সুযোগ থাকত না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩/আপডেট ১৭৩০ ঘণ্টা
জিসিজি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।