ঢাকা: জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, শরণার্থীরা মানবচেতনার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। তাদের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রয়োজন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে আমার এক দশক কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আমি জীবনের সর্বস্তরে শরণার্থীদের ঘুরে দাঁড়ানো দেখেছি ও তাদের অবদান প্রত্যক্ষ করেছি। প্রতিকূলতার মুখে তাদের অধ্যবসায় আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করেছে।
তিনি বলেন, শরণার্থীরা মানবচেতনার সবচেয়ে ভালো উদাহরণ। তাদের প্রতি সমর্থন ও সংহতি প্রয়োজন। এগুলো তাদের প্রাপ্য। সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া বা তাদের ঠেলে বের করা দেওয়া ঠিক নয়।
আমরা যখন বিশ্ব শরণার্থী দিবস পালন করছি তখন আমরা শরণার্থীদের বর্ধিত সংখ্যা নিয়ে একটি নির্মম পরিসংখ্যানের মুখোমুখি।
সংঘাত, নিপীড়ন, ক্ষুধা ও জলবায়ুজনিত বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত দেশগুলোতে বসবাসকারী ১০ কোটির বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এটি শুধু কাগজে লেখা কিছু সংখ্যা নয়, এগুলো কঠিন যাত্রা পথের নারী-শিশু ও পুরুষের সংখ্যা। যারা প্রায়ই সহিংসতা, শোষণ, বৈষম্য ও নিগ্রহের সম্মুখীন।
এ দিনটি শরণার্থীদের সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে আমাদের দায়িত্বের কথা তুলে ধরে। পাশাপাশি তাদের প্রতি সহায়তা আরও বাড়াতে আমাদের বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে শরণার্থীদের পুনর্বাসনে পদক্ষেপ গ্রহণ ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের জীবন পুনর্গঠনে সহায়তা দেওয়া।
মানসম্পন্ন শিক্ষা, মর্যাদাসম্পন্ন কাজ, স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন ও সামাজিক সুরক্ষার সুযোগ বাড়ানোর জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর রিফিউজির আহ্বান অনুসারে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোর জন্য আমাদের আরও বেশি আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।
পাশাপাশি শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের আরও জোরালো রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রয়োজন, যাতে শরণার্থীরা নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারে।
এবারের বিশ্ব শরণার্থী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘বাড়ি থেকে দূরে থাকলেও আশা জেগে থাকবেই’।
শরণার্থীরা তাদের হৃদয়ে যে আশা বহন করে তা কাজে লাগাতে আমি গোটা বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাই।
আসুন আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপে শরণার্থীদের সাহসকে তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগগুলোর সঙ্গে মেলাই।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
টিআর/আরবি